NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১১, ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

অসহায়ত্বের কথা জানালেন গাজার চিকিৎসক


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম

অসহায়ত্বের কথা জানালেন গাজার চিকিৎসক

ডা. মুহাম্মাদ ঘুনেইম (২৮) গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা মেডিক্যাল কমপ্লেক্সের একজন জরুরি চিকিৎসক। হাসপাতালটির সব কর্মীর মতো তিনিও বলেন, এক সপ্তাহ আগে গাজায় বোমাবর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে বের হতে পারেননি।

ঘুনেইম বলেন, হাসপাতালের কর্মীদের তাঁদের পরিবারকে দেখতে বাড়িতে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সাহায্যের প্রয়োজনে আসা লোকের সংখ্যার কারণে তাঁরা তা করতে পারছেন না।

 
তাঁরা প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্স পরীক্ষা করে দেখছেন যে তাঁদের বাড়ির আশপাশের কেউ সেখানে আছে কি না।

 

হাসপাতালে আসা প্রায় ৬০ শতাংশ হতাহত নারী, শিশু ও বয়স্ক বলে জানান এ চিকিৎসক। তিনি বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে, জেনারেটরের জ্বালানিও আজ ফুরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘুনেইম জানান, জেনারেটর না চলার অর্থো হলো, কোনো অস্ত্রোপচার হবে না।

 
রোগীদের জন্য কোনো অক্সিজেন থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই অসহায় বোধ করছি, আমরা কিছুই করতে পারছি না।’

 

ঘুনেইম স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনে মেডিসিনের ওপর পড়াশোনা করেছেন। তবে তারঁ সারা জীবন কেটেছে গাজায়।

 
এখান থেকে তাঁর চলে যাওয়ার কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ‘গাজা ছেড়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কোনো পথের প্রয়োজন নেই। গাজাকে চিকিৎসা সরবরাহ ও মানবিক সহায়তা দিতে শুধু আমাদের একটি মানবিক পথ দরকার। আমি বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি, রাস্তায় প্রতিবাদ করুন এবং আপনাদের সরকারকে এই আগ্রাসন বন্ধে সাহায্য করতে বলুন।’

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ও গাজার সংঘাত অষ্টম দিনে প্রবেশ করেছে।

 
গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে হামাস নজিরবিহীন হামলা চালালে পর এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। সেই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি জিম্মির সংখ্যা ১২৬। এর জবাবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক হামলা চালালে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।