NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ১৭, ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মায়ানমারে নিযুক্ত প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা আফতাব প্রত্যাহার ঈদে সব পশুর হাটে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মাউন্ট এভারেস্টে দুই পর্বতারোহীর মৃত্যু, একজন ভারতীয় এবার আমিরাতের সঙ্গে ২০ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি করলেন ট্রাম্প ২২৫ রানের পুঁজি নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের শিগগির বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ঋতাভরী ৭০ বছর বয়সে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনুপম খের সাম্য হত্যার আসামি গ্রেফতার করা পুলিশ টিম পেলো লাখ টাকা পুরস্কার ভাড়া কমানোর আহ্বান বেবিচকের, সায় দিলো এয়ারলাইনগুলো কাতারের বিমান উপহার: ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন তার সমর্থকরাও
Logo
logo

যুক্তরাজ্যে নতুন আইন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ


খবর   প্রকাশিত:  ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১৪ এএম

যুক্তরাজ্যে নতুন আইন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ

অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল ঠেকাতে কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা করছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। গত বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা দেন, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর আইন করবেন তিনি।

আর সুনাকের সেই ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার দেশটির সংসদে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়। এরপর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় রাজপ্রাসাদে। সেখানেও অনুমোদন পাওয়ার এখন এটি আইনে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের নতুন এ আইনটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য খারাপ বা দুঃসংবাদ হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ এখন দেশটিতে কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকা বা অন্য কোনো অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করলে— কোনোভাবেই আশ্রয় পাবেন না। অবৈধভাবে প্রবেশ করার পর যদি কেউ ধরা পড়েন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে তৃতীয় কোনো দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া কেউ যদি একবার অবৈধ উপায়ে এসে ধরা পড়েন তাহলে তিনি আর কখনো যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।

আইনের মাধ্যমে অবৈধদের ধরা ও ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সরকারের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ফলে খুব ‘বিশেষ কোনো কারণ’ না থাকলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে সরকারি সংস্থাগুলো বাধ্য থাকবে।

এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো— সাগর পথের ছোট নৌকাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা বন্ধ করা।

তবে আইনটির বিরোধীতা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা বলছে, এটি যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার অঙ্গীকারের পরিপন্থি।

অবশ্য যুক্তরাজ্য নতুন আইনটি করার ক্ষেত্রে কিছু যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ৪৫ হাজার আশ্রয় প্রত্যাশী যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে এবং দিন দিন এটি বেড়ে যাচ্ছে।

সরকার আরও জানিয়েছে, এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের থাকার জন্য তাদের প্রতি বছর প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এছাড়া এসব অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীরা নৌকাতে চড়ার জন্য অপরাধী চক্রকে অর্থ প্রদান করছে। যার মাধ্যমে চক্রগুলো আর্থিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে।

ঋষি সুনাক প্রশাসন চাচ্ছে, অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় স্থানান্তর করতে। তবে এক্ষেত্রে আইনি বাধার মুখে পড়েছে তারা।

এদিকে বিতর্কিত নতুন আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেও এটি এখন থেকেই কার্যকর শুরু হবে না। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ধীরে ধীরে আইনটি প্রয়োগ করা শুরু হবে। কারণ এটি এখনই কার্যকর করার মতো প্রস্তুতি বা সক্ষমতা সরকারের নেই।