NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাস্তবতা


খবর   প্রকাশিত:  ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৬:০৯ এএম

>
বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাস্তবতা
 
 

বেশ কয়েক বছর ধরে উচ্চশিক্ষার মান ও বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে তোলপাড় শুরু হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। শতবর্ষ পেরিয়েও প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলছে তারা এখন শিক্ষার মানোন্নয়নে মনোযোগ দিতে চান। কতটা বদলাবে, কতটাই–বা সম্ভব, সেটা সময় ঠিক বলে দেবে। যাহোক, কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তি হচ্ছে আটটি সূচক। সূচকগুলো হলো একাডেমিক খ্যাতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত, চাকরির বাজারে সুনাম, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক ও কর্মসংস্থান। এসব সূচকের আলোকে এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে যা পাই তাই বলে দিচ্ছে কতটা কঠিন আর প্রতিকূল পথ পাড়ি দিতে হবে।

বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাস্তবতা
 

একাডেমিক খ্যাতি নির্ধারিত হয় মূলত শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে। আর এ দুটোর কী অবস্থা, তা আমরা সবাই জানি। বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১: ২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। অথচ গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে আমাদের সরকারি-বেসরকারি ৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয়েই এই মানদণ্ড নেই।

শিগগিরই শিক্ষকপ্রতি গবেষণা উদ্ধৃতি সূচক অর্জন কতটুকু সম্ভব, সেটাই ভাববার ব্যাপার। কারণ, এ দেশে রাজনীতি, স্বজনপ্রীতি বা টাকার বিনিময় প্রভাবে নিয়োগ যোগ্যতার সর্বনিম্ন শর্তাবলীতে কিংবা শিট মুখস্থ করে উচ্চ সিজিপিএ ধারণকারী শিক্ষার্থীরাই অধিকাংশ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। এমন নিয়োগের ফলে এসব শিক্ষকের একদিকে শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে কম, একই সঙ্গে গবেষণা বা উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণেও থাকে আলসেমি। অনেকের গবেষণা উদ্দেশ্য থাকে আবার বেতন স্কেল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। ফলে আমরা অহরহ দেখতে পাই সেসব গবেষণায় থাকে প্লেগারিজম। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুসংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী থাকলেও বাকি অনেক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়তো জানেই না যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী না থাকলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ম্লান হয়। যদি র‍্যাঙ্কিংয়ে না থাকে, না থাকে যদি মানসম্মত শিক্ষা তাহলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আসবেই–বা কীভাবে! আর আন্তর্জাতিক শিক্ষকও নেই। আন্তর্জাতিক শিক্ষক নিয়োগের কোনো আগ্রহও নেই এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।