NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ১৬, ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ লন্ডনের মঞ্চে ‘ডিডিএলজে’, চমকে দিলেন শাহরুখ খান জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার -প্রেস সচিব শিগগিরই মিসরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের হামলায় ১১ সেনা নিহত, আহত ৭৮: পাকিস্তান আইএসপিআর কেন দাম কমে গেছে সুপারস্টার নয়নতারার পর্দা নামলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের, বিজয়ী গিগাবাইট টাইটানস
Logo
logo

‘প্রিয় বন্ধু’ এরদোয়ানকে অভিনন্দন-প্রশংসায় ভাসালেন পুতিন


খবর   প্রকাশিত:  ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:১৬ এএম

‘প্রিয় বন্ধু’ এরদোয়ানকে অভিনন্দন-প্রশংসায় ভাসালেন পুতিন

গত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রান-অফ নির্বাচনে কেমাল কিলিচদারোগলুকে পরাজিত করে রোববার (২৮ মে) জয় ছিনিয়ে নেন তিনি।

আর এরপরই ‘প্রিয় বন্ধু’ এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে এরদোয়ান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতির ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন তিনি। সোমবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ‘প্রিয় বন্ধু’ রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে তুরস্কের জনগণ যে এরদোয়ানের স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে; এই জয়ে সেটিই প্রমাণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের (ওয়াইএসকে) চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট পদে এরদোয়ানের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ওয়াইএসকে প্রধান আহমেত ইয়েনার বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে এরদোয়ান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, এখন পর্যন্ত ৯৯.৪৩ শতাংশ ব্যালট গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুসারে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন এই প্রেসিডেন্ট ৫২.১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৬ শতাংশ ভোট।

এরপরই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান প্রেসিডেন্ট পুতিন। ক্রেমলিনের তথ্য অনুযায়ী- ওই বার্তায় পুতিন বলেন, ‘নির্বাচনে বিজয় তুরস্কের সরকারপ্রধান হিসাবে আপনার নিঃস্বার্থ কাজের একটি স্বাভাবিক ফলাফল। একইসঙ্গে এই জয় রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করার এবং স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার জন্য তুরস্কের জনগণের সমর্থনের স্পষ্ট প্রমাণ।’

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ রুশ-তুর্কি সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য আপনার ব্যক্তিগত অবদানের অত্যন্ত প্রশংসা করি আমরা।’

পুতিন বলেছেন, তিনি তুরস্কের আক্কুয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র - যা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি গ্রুপ রোসাটমের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে - এবং তুরস্কে প্রস্তাবিত গ্যাস হাবের মতো যৌথ প্রকল্পগুলোর দিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে ভূমিকম্পের পরে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রশংসা করে অভিনন্দন জানান বেলারুশের প্রবীণ প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।

লুকাশেঙ্কো তার প্রেস অফিস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি আপনাকে একজন যোগ্য, শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বেলারুশের একজন ভালো বন্ধু বলে মনে করি। আন্তর্জাতিক স্তরে উত্তেজনা কমিয়ে আনা, খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং যেকোনও বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমাদের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।’

এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের এই বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সের আঙিনায় জড়ো হওয়া কয়েক হাজার সমর্থকের সামনে বক্তৃতা করার সময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে রোববারের রান অফ ভোটের প্রকৃত বিজয়ী ৮৫ মিলিয়ন তুর্কি নাগরিক এবং তুর্কি গণতন্ত্র বলে ঘোষণা দেন।

রোববার রাতে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরাই একমাত্র বিজয়ী নই। এই নির্বাচনে তুরস্কের জয় হয়েছে, আমাদের গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।’

মধ্যরাতের এই বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি আরও বলেন, ‘আজ কেউ হারেনি। তুরস্কের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক জিতেছে। আর এখন আমাদের জাতীয় লক্ষ্য এবং জাতীয় স্বপ্নকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।’