আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের সংবাদ সম্মেলন সম্প্রচার বা পুনঃপ্রচার করার ব্যাপারে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।
ডন নিউজ জানিয়েছে, শেহবাজ শরিফের প্রশাসন গতকাল শনিবার পাকিস্তান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটিকে (পেমরা) এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের (বাকস্বাধীনতা) আওতায় আইনি প্রয়োজনীয়তার অব্যাহত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইমরান খানের বক্তব্য প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশনা পেমরা অধ্যাদেশ ২০০২ এর ধারা ৫ নম্বর ধারার অধীনে দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইমরান খানের আমলের তিক্ত প্রথার অবসান ঘটিয়ে নতুন ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তৎকালীন বিরোধী নেতা ও রাজনীতিবিদদের সাথে ইমরান খান তার ক্ষমতার চার বছরে যা করেছিলেন, বর্তমান প্রশাসন তা মানতে পারেনি।
তিনি আরো বলেছেন, গণতান্ত্রিক নীতি এবং সাংবিধানিক মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থেকে শুরু করে, নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করা ইমরান খানের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও মনোভাব।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটিকে উদ্দেশ্য করে মরিয়ম বলেছেন, ইমরান খান যদি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলতে চান, তাহলে তাকে কথা বলতে দিন। আমাদের বিরুদ্ধে ইমরান খান কোনো বক্তৃতা দিলে তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিন; যাতে জনগণের কাছে বাস্তবতা স্পষ্ট হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের কোনো বক্তৃতা বা সাংবাদিক বৈঠক সম্প্রচার বা পুনঃসম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তানের বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। ইমরানকে খুন করার জন্য রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন সংস্থা পরিকল্পনা করছে বলে 'ভিত্তিহীন' অভিযোগ করে যাচ্ছেন ইমরান খান। তাই তার বক্তৃতা সম্প্রচার বা পুরনো বক্তৃতার পুনঃসম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সূত্র: ডন