ভারত সরকার চীন ও তুরস্কের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের একাধিক এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। নয়াদিল্লির অভিযোগ, এই অ্যাকাউন্টগুলো ভারতের ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যা তথ্য’ প্রচার করছিল।

নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে তুরস্ক সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এবং চীনের প্রভাবশালী রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা গ্লোবাল টাইমস ও শিনহুয়া।

 

চীনে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক্সের এক পোস্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানঘেঁষা বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

 

দূতাবাসের ভাষ্যমতে, যখন কোনো সংবাদমাধ্যম যাচাই ছাড়া এমন প্রচার চালায়, তা সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতির লঙ্ঘন।

এর আগে, ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করে ভারত। সতর্ক করা হয় ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসিকেও।

গত ২৮ এপ্রিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এসব চ্যানেলের সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

 

 

 

নিষিদ্ধ হওয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন, জিও নিউজ, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার এবং সুনো নিউজের ইউটিউব চ্যানেল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন সাংবাদিক ইর্শাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা এবং মুনিব ফারুকের চ্যানেলও।