ওয়াশিংটন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না—এমন একটি বিবৃতি নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে তার ভুল সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
এর আগে তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্যপত্রে ‘আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না’ বাক্যটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিয়মিত হালনাগাদের অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে বাক্যটি সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর।
এর প্রেক্ষিতে বেইজিং বলেছে, এর ফলে তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কাছে একটি ভুল বার্তা গেছে।
তাইওয়ানের পরিবর্তে চীনকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে আসছে চীন এবং এটি চীনের অন্তর্ভুক্ত হবে বলে মনে করে বেইজিং।
যদিও বেশির ভাগই এমন একটি স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে, যেখানে তাইওয়ান স্বাধীনতাও ঘোষণা করবে না, আবার চীনের সঙ্গে যুক্তও হবে না। তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যত দূতাবাস আমেরিকান ইনস্টিটিউট ইন তাইওয়ানের এক মুখপাত্র বলেন, ‘তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্কের বিষয়ে মানুষকে অবহিত করতে তথ্যপত্রটি হালনাগাদ করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপকে ‘ইতিবাচক ও তাইওয়ানবান্ধব’ আখ্যা দিয়ে দ্বীপটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়াং-লু যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে গতকাল সোমবার এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইওয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান গুরুতরভাবে পেছনের দিকে চলে গেছে।