ধবলধোলাই এড়ানোর টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর বিপরীতের ধুঁকছিল ভারত। ওয়াংখেড়েতে ২৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে। দলের এমন বিপর্যয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন ঋষভ পন্ত।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন পন্ত।
বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বলি না হলে পন্ত ম্যাচকে জিতিয়ে দিতে পারতেন। এমনটাই মনে করে ভারত। তাই ম্যাচ শেষে অবধারিতভাবেই ভারতের সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পন্তের আউট নিয়ে হতাশাই ঝড়েছে রোহিত শর্মার কণ্ঠে।
পন্তের আউট নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘আউটটির বিষয়ে সত্যি বলতে, জানি না। আমরা কিছু বললে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া না গেলে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকে। এটাই বলা হয়েছে আমাকে।
আউটের ব্যাখ্যা নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘ব্যাট পরিস্কারভাবেই প্যাডের খুব কাছাকাছি ছিল। তাই আবারও বলছি, ঠিক জানি না মন্তব্য করার এটাই সঠিক বিষয় কি না। এটা এমন কিছু যা আম্পায়ারদের চিন্তার বিষয়। মত না পাল্টে সব দলের জন্যই একই নিয়ম থাকুক।’
পন্তের আউট হওয়ার ঘটনাটি ২৪তম ওভারের সময়। প্যাটেলের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে সামনে এসে ডিফেন্স করলে ব্যাট-প্যাড ঘেঁষে উইকেটের পেছনে চলে যায়। তা তালুবন্দি করেই আউটের আবেদন করেন উইকেটরক্ষক টম ব্ল্যান্ডেল। তবে আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ আউট দেননি। পরে নিউজিল্যান্ড রিভিউ নিলে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে যায়। তৃতীয় আম্পায়ার পল রাইফেল আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
তার আগে ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায় বল পন্তের ব্যাট স্পর্শ করেছে। তবে একই সময় প্যাডে পন্তের ব্যাটও আঘাত করেছিল। স্নিকো মিটারে সাধারণত শব্দই ধরে। তাই সেটা ব্যাট নাকি প্যাড ছিল তা সহজে বুঝা যায়নি। তৃতীয় আম্পায়ারও পরিস্কার হওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার ভিডিও দেখে। শেষ পর্যন্ত রাইফেল আউটের সিদ্ধান্ত নিলে পন্তের ৫৭ বলের ৬৪ রানের ইনিংসটি শেষ হয়ে যায়। সঙ্গে ভারতের জয়ের আশাও।