প্রায় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা মহানগরের ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকা মহানগরের ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়ায় ২০২১ সালের ৯ জুন সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সারোয়ার হোসেনের ১ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। আর অস্থাবর সম্পদের তথ্য ছিল ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪২ টাকা। সব মিলিয়ে এক কোটি ৯২ লাখ ১ হাজার ৫৩০ টাকার সম্পদের হিসাব দেন সারোয়ার।
কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ে সারোয়ার হোসেনের স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ২ কোটি ১৮ লাখ ৬ হাজার ১১০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ২৬ লাখ ৪ হাজার ৫৮০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩৭, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলে ০০৪৮.৯৪ অযুতাংশ ভূমি ও ভূমির ওপর নির্মিত নিউ ভিশন ইন টেরেস-১ নামীয় ১০তলা বিশিষ্ট ভবনের ৩য় তলায় ১৪৩০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও নিচ তলায় ১২০ বর্গফুটে কার পার্কিং স্পেসসহ ১৫৫০ বর্গফুটে ফ্ল্যাট।
অনুসন্ধানে মো. সারোয়ার হোসেনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৬ লাখ ৪ হাজার ৫৮০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ মোট ৮৩ লাখ ৭ হাজার ৩৮৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা ও ২৭(১) ধারার মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদক থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও জি কে শামীমসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ২৫টির বেশি মামলা দায়ের করে সংস্থাটি।