ঢাকা: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিয়ে নেওয়া হলে নির্বাচনে স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। সে কারণে এটি সরকারের অন্য কোনো বিভাগের হাতে না নেওয়ার আবারো দাবি জাানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তরা।

আজ রবিবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে এ দাবিতে স্মারকললিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিইসিকে এনআইডির বিষয়ে আমাদের দাবির পক্ষে যুক্তিযুক্ত স্মারক লিপি দিয়েছি।

 

তিনি এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সাবেক সিইসি ও সচিবরা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন এনআইডি ইসির অধীনে রাখাটা যুক্তিযুক্ত হবে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আমাদের স্মারকলিপি দিয়েছি। সিইসি আশ্বস্ত করেছেন, কমিশন সভা করে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন সভা করে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবেন। আমরা আশা রাখতে চাই তারা নিশ্চয় ভালো কোনো সিদ্ধান্ত দেবেন। তাদের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

 

এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুজ্জামান বলেন, এনআইডি অন্যত্র চলে গেলে নির্বাচনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। ইভিএমের মাধ্যমে যে নির্বাচন করতে চাচ্ছি, সেখানে সরাসরি এনআইডির ব্যবহার হয়। আমাদের ডাটাবেজ অন্য কোথাও থেকে আসলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

এদিকে সরকার এনআইডি ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের হাতে ন্যস্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য নতুন একটি আইন করার প্রক্রিয়াও হাতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যে অসোন্তাষ কাজ করছে  এবং এর আগেও তারা এনআইডি সেবা কমিশনের কাছে রাখার পক্ষে  তাদের যুক্তি তুলে ধরেছেন।

গত বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা এ বিষয়ে বর্তমান কমিশনকে পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তবে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকার নিয়ে নিলে আমরা ভোটার কার্ড দেব। এনআইডি চলে গেলেও ভোটের সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের কাছেই থাকবে।