চীনে দ্বিপক্ষীয় সফর শেষ করে একদিন আগেই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সফর শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল সরকারপ্রধানের। তবে তিনি বুধবার রাতেই ফিরে আসছেন বলে তার প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এক দিন আগে ফিরলেও নির্ধারিত সকল কর্মসূচি শেষ করেই দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রেস সচিব জানান, বুধবার (১০ জুলাই) বেইজিং সময় রাত ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে চার দিনের সফরে সোমবার চীনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এদিন সাং-গ্রি-লা সার্কেলে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চতুর্দশ জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের বিপ্লবী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।
সফরসূচি অনুযায়ী বুধবার চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধান লি চিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ হবে।
সেখানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।
এরপর শেখ হাসিনা ও লি চিয়াংয়ের উপস্থিতিতে ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত ভোজের মধ্য দিয়ে গ্রেট হলে ওই সাক্ষাতের আনুষ্ঠিকতা সম্পন্ন হবে।
বুধবার বিকেলে চীনের গ্রেট হলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।