বিএনপি-জামায়াতের রবিবারের (২৯ অক্টোবর) হরতাল চলছে। এতে রাজধানীর সড়ক মহাসড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। তবে গণপরিবহণ কম হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি চোখে পড়ছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় গণপরিবহন কম থাকায় সাধারণ মানুষজনকে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
এদিকে, গতকাল সংঘর্ষ চলাকালে মঞ্চ ত্যাগ করার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ রবিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মাইকের আওয়াজ বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি হ্যান্ডমাইকে এই ঘোষণা দেন। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হামলা করে তাঁদের সমাবেশ ভণ্ডুল করে দিয়েছে।
পরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে এই হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হামলা, গুলিবর্ষণ ও অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হওয়ার প্রতিবাদে এই হরতাল হবে।
এদিকে, সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াতে ইসলামীও।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিএনপি হরতাল পালন করেছিল।
ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কাকরাইল, বিজয়নগর এলাকায় সংঘর্ষ এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের এলাকায় বারবার বিকট শব্দের মধ্যে হরতালের ঘোষণা এলো। তবে হরতালে সড়কে পরিবহন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।