অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। গত শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত বিজয় দিবস উদযাপ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের সন্তানেরা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, হাজার বছরে বাঙালি জাতি সত্ত্বার সৃষ্টি হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতার মাধ্যমে এ জাতিসত্ত্বার পরিপূর্ণতা দেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে তিনি জনযুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বৃহত্তর নারকীয় ও বীভৎস গণহত্যার মধ্যে বাংলাদেশে ৭১’র ২৫ মার্চের গণহত্যা অন্যতম। পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এবং এদেশের অধিকাংশ মানুষকে অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আমাদের সন্তুষ্টির বিষয় হলো বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। সামাজিক ও অথনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে।
এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী কয়েকজন খ্যাতনামা সংগীত শিল্পী দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করা করা হয়।