নিউইয়র্ক: ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীরা নির্বিচারে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করা হয়েছে বিশ্ব খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে আয়োজিত এক র‌্যালি থেকে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে এই র‌্যালির আয়োজন করা হয়। ‘হাই টাইম টু রিকগনাইজ জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ ১৯৭১-এ্যানিহিলেশন অব ৩ মিলিয়ন ইন অনলি ৯ মান্থ’ লেখা ব্যানারে প্রায় দুই ঘণ্টা চলে এই র‌্যালি। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চিহ্নিত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় এর স্বীকৃতির প্রশ্নে প্রবাসী বাঙালিরা আগে থেকেই সোচ্চার থাকলেও তা এখন প্রবল হয়ে উঠেছে তা জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এজেন্ডায় পরিণত হওয়ায়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে এই সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জামান। চিত্রাংকন পর্বের উদ্বোধন করেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মিথুন আহমেদ। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আশরাফুল হাসান বুলবুল, লুৎফুন্নাহার লতা, সুব্রত বিশ্বাস, মুজাহিদ আনসারী, মিনজাহ আহমেদ সাম্মু, সেমন্তি ওয়াহেদ প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন- ডা. ফেরদৌস খন্দকার, শরাফ সরকার, আল আমিন বাবু, তাজুল ইমাম, আব্দুল বাতিন, রেজাউল বারী বকুল, নিনি ওয়াহেদ, ফাহিম রেজা নুর, ওবায়দুল্লাহ মামুনসহ অনেকেই। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমামের নেতৃত্বে শিল্পীরা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চিত্র অংকন করেন। সমন্বয়ে ছিলেন সনজীবন কুমার, জাকির হোসেন বাচ্চু। উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের জাকির আহমেদ রনি, মহিলা পরিষদের সুলেখা পাল, উদীচীর হিরো চৌধুর, প্রোগ্রেসিভ ফোরামের আলীম উদ্দিন, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের লাভলু আনসার ও রাশেদ আহমেদ, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার শপথ গ্রহণ এবং বিশাল ক্যানভাসে লাল-সবুজ রঙের হাতের ছাপচিত্র দেয়। সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্লোগান দেয়া হয়।
সমাবেশের আয়োজন করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আর্র্টিস ফোরাম, শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জেনোসাইড একাত্তর, গণজাগরণ মঞ্চ, আমরা একাত্তর, প্রোগ্রেসিভ ফোরাম, বঙ্গবন্তু ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, একুশে চেতনা পরিষদ, প্রজন্ম একাত্তরসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১৬টি সংগঠন।