বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে এনআরবি, পিসকিপিং ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বাংলাদেশ বিষয়ক ৭৭তম জাতিসংঘ সাইডলাইন কনফারেন্সে এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা। সেন্টার ফর এনআরবি এই কনফারেন্সের আয়োজন করে।
সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারম্যান এমএস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত বহুজাতিক গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিয়োজিত আমেরিকার শান্তিবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ড. সীমা কারাতনায়া, নিউইয়র্ক পুলিশের কমিউনিটি বিষয়ক প্রধান মাক্সিমো টলেনটিনো, নিউইয়র্ক সিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক ডেপুটি কমিশনার দিলীপ চৌহান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মুসলিম প্রাথর্না বিষয়ক নেতা ও জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ড. শামসী আলী, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ, বাংলাদেশ আমেরিকা বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফখরুল ইসলাম, কমিউনিটি লিডার নাসির আলী খান পল,  আমেরিকান ব্যবসায়ী বিল লায়ন ও তরুণ আমেরিকান ব্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরী ও তরুণ প্রতিনিধি বাফলোর শাহী চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকে। এনআরবি, শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অবদান ও রোহিঙ্গা বিষয় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের অবদানে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধ। নিউইয়র্কে বিমান সেবা সম্প্রসারণে তিনি প্রবাসীদের সহায়তা কামনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশে-বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেন্টার ফর এনআরবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে আমেরিকার দূত ড. সীমা কারাতনায়া তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জনগণের পরিশ্রম ও সফলতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের নানাবিধ সম্পর্ক সম্প্রসারণে তার দপ্তর কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যক্তিখাতের উদ্যম ও সফলতা অন্যান্য দেশের জন্য ঈর্ষণীয়। তিনি সেন্টার ফর এনআরবির সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
সমাপনী বক্তব্যে সেকিল চৌধুরী ভেন্যু সহায়তা প্রদান করায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ও ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ অংশে যাবতীয় কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য টিসিবিএল গ্রুপ, ইউনিগ্লোবাল গ্রুপ ও পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।