দেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশনের উপর জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৩৬ এএম



জাতিসংঘ সদর দফতরে মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশীপ রেজুলেশনের উপর বার্ষিক উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করেন। সাধারণ পরিষদ হলে অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে বিপুলসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্ত:সরকারি সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
এবারের ফোরামের প্রতিপাদ্য ছিল “শান্তি সংস্কৃতি: শান্তি বিনির্মাণে অগ্রসর হওয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব”। উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ পিসবিল্ডিং সাপোর্ট অফিসের সহকারী মহাসচিব, যুব বিষয়ের জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং ইউনিভার্সিটি অব পিস এর রেক্টর। ফোরামটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অংশগ্রহণে একটি প্লেনারি পর্ব রাখা হয়। এছাড়া জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় একটি প্যানেল আলোচনা যেখানে জাতিসংঘ এবং সুশীল সমাজের বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন প্রবর্তন, সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ এবং তত্ত্বাবধায়নে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “জাতি হিসাবে আমাদের জন্মের মুহূর্ত থেকেই আমরা এমন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সমস্ত মানুষের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ঘটবে। এই প্রতিশ্রুতিই আমাদেরকে ১৯৯৯ সালে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও কর্মসূচি বিষয়ক সাধারণ পরিষদ রেজুলেশন প্রবর্তন করতে উৎসাহিত করেছিল, যার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির একটি রূপ আমরা দিতে পেরেছি।”
রাষ্ট্রদূত মুহিত শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের বর্তমান শান্তিবিনির্মাণ কাঠামো ইতিবাচক শান্তিকে এগিয়ে নিতে একটি কার্যকর উপায় তুলে ধরতে পেরেছে। এটি সংঘাতের প্রাদুর্ভাব, ভয়াবহতা, ধারাবাহিকতা ও পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর মূল কারণগুলিকে সমাধান করে শত্রুতার অবসান ঘটানোর পথ দেখায়। এজন্য মনোভাবের পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ, এবং বিদ্যমান কাঠামো পরিবর্তনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা দরকার যা আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ সমাজের দিকে ধাবিত করে।
প্লেনারি এবং প্যানেল আলোচনায় বক্তাগণ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শান্তির সংস্কৃতির ধারণার প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বেবর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা কোভিড-১৯ অতিমারি এবং চলমান সংঘর্ষের কারণে বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে নতুনভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা তুলে ধরেন।
প্রবাস রিলেটেড নিউজ

নিউইয়র্কে জমকালো আয়োজনে চিটাগাং এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা’র বৈশাখী উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী

নিউজার্সীতে বিএনপি নেতা ছুফি চৌধুরী সংবর্ধিত

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলি হাউসে ‘বাংলাদেশ ডে’ উদযাপন ২৮ এপ্রিল

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির ১২ সদস্য বিশিষ্ট নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত

গোলাপগঞ্জ ইউনাইটেড ফোরাম অফ নিউ জার্সি’র নতুন কমিটির বর্ণিল অভিষেক ও ঈদ পুণর্মিলনী

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের বৈঠক : পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

পাচারকৃত বাংলাদেশের সম্পদ ফেরাতে প্রবাসীদের সাহায্য চাই -নিউইয়র্কে গভর্নর ড. মনসুর

মিশিগানের হেমট্রামিক সিটি কাউন্সিলে প্রোইমারী নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাংবাদিক ও সামাজিক কর্মী মাহফুজুর রহমান