মিশিগানে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিল্টন নাজেহাল হয়েছেন। গত ২১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ডেট্রয়েট ডাউনটাউন নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। স্মারকলিপি গ্রহণ না করায় তার ওপর চড়াও হয় ৭-৮ জনের একটি দল। দূতাবাস সচিবকে হেনস্তার ঘটনায় মিশিগানের ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। গত ২২ আগস্ট বিকালে কনস্যুলার ক্যাম্পের স্থানীয় আয়োজকরা এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সচিব মিল্টনসহ দূতাবাস কর্মকর্তারা রোববার (২১ আগস্ট) রাতে ডেট্রয়েট ডাউনটাউন নদীর পাড়ে ঘুরতে যান। মিশিগানে স্থায়ী কনস্যুলেট অফিসের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য নদীর পাড়ে যান ৭-৮ জনের একটি দল। দূতাবাস সচিব মিল্টন নদীর পাড়ে স্মারকলিপি গ্রহণ করেননি। দূতাবাসের অফিসিয়াল ই-মেইলে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এতে ক্ষেপে যান তারা। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মিল্টনকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাকে মারধরের জন্য চড়াও হন। এ ঘটনায় ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাসের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, দূতাবাস সচিবকে হেনস্তার ঘটনায় কমিউনিটির বড় ক্ষতি হয়েছে। ভোগান্তি বেড়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের। দূতাবাস সচিবকে শারীরিক হেনস্তা করা নিন্দনীয়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ, সেক্রেটারি আবু আহমেদ মুসা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাবেদ চৌধুরী, সেক্রেটারি সুমন কবির, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আবদুল আহাদ, সেক্রেটারি সৈয়দ মতিউর রহমান শিমু। এদিকে হঠাৎ করে কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেয়ায় মারাত্মক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন শত শত সেবাপ্রার্থী। তারা ক্যাম্পে এসে দেখেন দরজায় তালা ঝুলছে। পরে সেবার বদলে ক্ষুব্ধ মনে ফিরে যান তারা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহজে কনস্যুলার সেবা পৌঁছে দিতে হ্যামট্রামিকের আমিন রিয়েলেটি অফিসে গত ১৯ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট বিকাল ৫টা পর্যন্ত চার দিনের ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প চালু করেছিল ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস। এ ব্যাপারে জানতে দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) আব্দুল হাই মিল্টনকে গণমাধ্যমকর্মীরা তার মুঠোফোনে বিভিন্ন সময় কল দেন; কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে তার মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।