‘আমরা করবো জয়’ স্লোগানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত কর্মসূচি নিয়ে লস এঞ্জেলেসে বারব্যাংক সিটিতে আসছে লেবার ডে উইকেন্ডে (২-৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে ৩৬তম ফোবানা কনভেনশন।  যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ৪৫ সংগঠনের শিল্পী-কলা-কুশলী ছাড়াও শতশত সংগঠকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন ফোবানার চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান। ২৩ আগস্ট তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান আসছেন প্রধান অতিথি হিসেবে।  কনভেনশনের উদ্বোধন করবেন খ্যাতনামা অভিনেত্রী লায়লা হাসান। এ সময় পাশে থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্টজনেরা। আতিক উল্লেখ করেন, কনভেনশনে আসতে আগ্রহী অনেকেই হোটেলে রুম বুক করেছেন। আবার অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাসায় উঠবেন। বারব্যাংক এয়াপোর্টের একেবারেই নিকটে কনভেনশন ভেন্যু হওয়ায় অতিথিগণের কোন সমস্যা হবে না। কর্মসূচির ফাঁকে হলিউড পরিভ্রমণেও সক্ষম হবেন। অতিথি এবং খ্যাতনামা শিল্পীর মধ্যে উল্লেকযোগ্যরা হচ্ছেন লীনা তাপসী, ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, তারিন, হৈমন্তী. এস আই টুটুল, তাজুল ইমাম, সুবর্ণা প্রমুখ। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, টেক্সাস, ম্যাসেচুসেট্স, কানেকটিকাট, ওকলাহোমা, ইলিনয়, মিশিগান, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ওয়াশিংটন, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, মিনেসোটা, রোড আইল্যান্ড প্রভৃতি স্থানের শিল্পী ছাড়াও থাকবেন বিশিষ্টজনেরা। সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে থাকবে দেশ ও প্রবাসের সামগ্রিক উন্নয়ন-প্রত্যাশা এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে পরিচিত করার প্রয়াস। প্রদর্শিত এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্যে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় নেতৃত্বের ধারাবিবরণী। এই কনভেনশনের হোস্ট কমিটির কনভেনর আবুল ইব্রাহিম, মেম্বার সেক্রেটারি সাঈদ মোহাম্মদ হোসেন সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন হোটেলের রুম ফুরিয়ে যাবার আগেই বুক করার জন্যে। হোস্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট জাহিদ হোসেন পিন্টু এবং প্রধান সমন্বয়কারি কাজী মাশুহুরুল হুদা উল্লেখ করেছেন যে, উত্তর আমেরিকার প্রবাসীদেরকে সাদর অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন লসএঞ্জেলেসবাসী। লিটল বাংলাদেশ খ্যাত এই সিটির প্রতিটি প্রবাসী আগের মতোই ফোবানার সাথে একযোগে কাজ করছেন। প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে বাঙালিত্ব সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর এলএবাসী ফোবানার সমস্ত কাজকর্মে নিবেদিত রেখেছেন বলে এ সংবাদদাতাকে জানান ফোবানার ট্রেজারার দেওয়ান জমির। তারা উল্লেখ করেছেন, বাগাড়ম্বর নয় এবারের সম্মেলনে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা প্রাধান্য পাবে। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের মধ্যদিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার প্রয়াস থাকবে প্রতিটি পর্বে।