উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সকল আগ্রাবাদের মানুষের প্রাণের সংগঠন পরানে আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ-এর উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছর প্রথমবারের মতো 'পরানে আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ ও 'পরানে আগ্রাবাদ কানাডার' যৌথ উদ্যোগে গত ২২, ২৩ ও ২৪ জুলাই নায়াগ্রা ফলসে অনুষ্ঠিত হলো এই আয়োজন। প্রাণের মেলায় মনের টানে, বন্ধুত্বের বন্ধনের সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাসরত আগ্রাবাদিয়ান পরিবারগুলো যুক্ত হয় নায়াগ্রা ফলসেরে এই আয়োজনে।

'পরানে আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ ও 'পরানে আগ্রাবাদ কানাডা' এর সবাই মিলে নায়াগ্রা ফলস ভ্রমন করেন। নিউইর্য়ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং কানাডায় বসবাসরত, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সবাইকে একত্রে করার উদ্দ্যোগ এটি। এই আয়োজনে সবাই আনন্দে মেতে উঠেন, কারো কারোর সাথে ১০ বছর অথবা ১৫ বছর, এমন কি ২৬ বছর পর দেখা হয়েছে। সবাই পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে সময় কাটান।

এবারই প্রথম বারের মতো পরানে আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ. ও পরানে আগ্রাবাদ কানাডা যৌথভাবে আমেরিকার বিভিন্ন স্ট্রেইট ও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত যেখানে আগ্রাবাদিয়ান ভাই বোন আছেন সেখানেই পুনর্মিলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিউইয়র্ক এর তিন প্রতিষ্ঠাতা খুরশিদ আলম বাবু, মাকসুদুর রহমান জুয়েল এবং কানাডার তিন প্রতিষ্ঠাতা রীতা চৌধুরী, মনজুর আহমেদ পলাশ, ফেরদৌসী সুলতানা মুন্নি এবং তিন জন উপদেষ্টা নিয়ে একটি নতুন কমিটি করা হয়। উপদেষ্ঠাগণ হলেন ফরহাদ বাদশা, আকিম রহমান উত্তোজান এবং শরীফ হক মিন্টু।

পরানে আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ এর তিন প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদুজ্জামান বকুল, খুরশিদ আলম বাবু, মাকসুদুর রহমান জুয়েল - সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে পরানে আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ ও পরানে আগ্রাবাদ কানাডার যৌথ উদ্যোগে তিনজনকে সন্মননা স্মারক প্রদান করা হয়। তারা হলেন- আগ্রাবাদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হেদায়েতউল্লাহ স্যার, আগ্রাবাদ স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা জনাবা মাজেদা বেগম  এবং আমেরিকান নাগরিক ইউ.এস.এ এনমেরি আলম।

প্রতিষ্ঠাতাদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়াহিদুজ্জামান বকুল। তিনি ঘোষণা দেন পরবর্তীতে প্রতিটি পরানে আগ্রাবাদ অনুষ্ঠান ইউ.এস.এ ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ফিরোজ আহমেদ, মুন্নী এবং বাবু। মাউথ অরগান বাজান মাইন চুমি, কবিতা আবৃত্তি করেন কবি শামস রুশো ও শাহনেওয়াজ সবুজ। র‌্যাফেল ড্রতে ১ম পুরস্কার টেলিভিশন পায় সেলী, ২ পুরস্কার গেলাক্সী টেব পায় মুন, ৩য় পুরস্কার ল্যাপটপ পায় জান্নাতুল মুরশিদা দিলু, ৪র্থ পুরস্কার জুস মেশিন পায় রামিসা মালিহা মুনিয়া।

পরাণে আগ্রাবাদের এই আয়োজনে, ইউএসএর পক্ষে যারা নিরলসভবে কাজ করেছেন, তারা হলেন বাদশা, উত্তোজন, বাবু, জুয়েল, বকুল, ফিরোজ ও জগলুল।

পরানে আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ প্রতি বছরই এই ধরনের আয়োজন করে থাকেন, উল্লেখ্য সংগঠনটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।