বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মুম্বাই-এ আজ ০৫ই আগষ্ট শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী  যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, বিশেষ আলোচনাসভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ, দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।  

 

মুম্বাইস্থ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার জনাব চিরঞ্জীব সরকার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান সংগঠক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের বর্ণাঢ্য ও গৌরবময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন অসাধারণ মেধাবী মহান এ ব্যক্তিত্ব নিজের স্বার্থ চিন্তার উর্ধ্বে উঠে দেশমাতৃকার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন। আবার স্বাধীনতার পরে তিনি শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। পদ ও পদবীর চেয়ে দেশের সেবা করাই ছিল যাঁর নিকট মুখ্য। মহান এ ব্যক্তিত্ব আজকের যুব সমাজের নিকট অনুসরনীয় এক আদর্শ।

আলোচনা সভায় বক্তারা সকলেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহান এ  সংগঠককে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। প্রসঙ্গক্রমে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যতম সদস্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতির বিষয়টি এ সময় আলোচকরা উল্লেখ করেন। এরপর শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান এ সংগঠক শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের-এর জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়। উল্লেখ্য যে,অনুষ্ঠানটি আয়োজনে স্বাগতিক দেশের করোনা মহামারী জনিত বিধি-নিষেধ অনুসরন করা হয়েছে। 

উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আমন্ত্রীত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।