বিশেষ প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষের ভালবাসায় শিক্ত হলেন নিউইয়র্কের কমিউনিটি নেতা, বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল হাসিম হাসনু। গত গত ৩ ডিসেম্বর, রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় ওয়ারেন শহরের একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় মিশিগানে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের সাথে মতবিনিময় করেন হাসনু। প্রবাসীদের এ মিলনমেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মিশিগান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাভেদ চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুমন কবীরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব মিশিগান-এর সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মঈন দীপু, সাধারণ সম্পাদক মো. লুতফুর রহমান, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এন ইসলাম শামীম, কমিউনিটি নেতা আবুল হোসেন ভিংরাজ, ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আহমদ, সাংবাদিক জুয়েল খান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা আব্দুল হাসিম হাসনুর সামাজিক কর্মকান্ড ও মানবিকতা তুলে ধরে বলেন, প্রবাসের এই ব্যস্ত জীবনে তিনি যেভাবে মানুষের কল্যাণে পাশে দাঁড়ান, বিপদগ্রস্ত মানুষদের সহযোগিতার জন্য হাত প্রসারিত করেন তা অনন্য এবং আমাদের জন্য অনুকরণীয়।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হাসিম হাসনু মিশিগানে বাংলাদেশি কমিউনিটির কথা তুলে ধরে বলেন, মোটর সিটি মিশিগানে বাংলাদেশীরা নিজেদের যোগ্যতায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পেশাগত জীবনে সুনামের সাথে স্বনামে নিজদের মেধার সাক্ষর রাখছে। শুধু তাই নয় রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের সফলতা আমাদের আশাবাদী করে তুলে। তিনি আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনাদের এমন ভালবাসায় আমি অভিভূত। মিশিগান থেকে আপনাদের ভালবাসা সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি।’

সংগঠনের পক্ষ থেকে আব্দুল হাসিম হাসনুকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভয়েস অব মিশিগানের পক্ষ হাসনুকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন নিউজ পোর্টাল এর সম্পাদক ও প্রকাশক শফিক রহমান। এছাড়া মিশিগানের বিভিন্ন সংগঠন আব্দুল হাসিম হাসনুকে নানা উপহার সামগ্রী প্রদান করে। পরে অতিথির সম্মানে নৈশভোজে অংশ নেন শতাধিক বাংলাদেশী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্প্রতি ফেঞ্চুগঞ্জের ক্রীড়া সংগঠক সিকন্দর আলীর মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।