যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কানাডায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালিরা নির্ধারিত ফার্মগুলোতে তাদের পশু কোরবানি করেছেন।

সাধারণত ঈদ উপলক্ষে কানাডায় সরকারি ছুটি থাকে না। সবাইকে যার যার কাজে যোগ দিতে হয়। তারপরও ঈদ উদযাপনে নতুন পোশাক পরে সবাই একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। কাজ শেষ পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবদের সাথে মেতে উঠেন ঈদ আনন্দে।

ক্যালগেরি, অটোয়া, টরেন্টো, মনট্রিলসহ কানাডা জুড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঈদ উদযাপন করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ঈদের দিন কাছের মানুষদের সঙ্গে আড্ডার পাশাপাশি সুস্বাদু খাবারের আয়োজন।

কানাডার ‘নতুন দেশ’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, কানাডায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ব্যাপ্তিও বেড়েছে। এখানেও ঈদ উৎসবে পরিণত হয়েছে। ঈদ উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশিরা যেনো কানাডায় নিজেদের ভিন্নভাবে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে।

ব্যবস্থাপনা পেশাজীবী এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, তিন বছর পর প্রবাসে ঈদ উদযাপন করছি। করোনার জন্য গত দুই বছর আমরা এক অর্থে গৃহবন্দি থেকেছি। তিন বছর পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে ঈদ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

প্রবাসে ঈদ উদযাপন নিয়ে এবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ড. মো. বাতেন বলেন, বাংলাদেশের মতো আনন্দ করে এখানে ঈদ হয় না। প্রবাসে আমরা বাঙালিরা একে অপরের বাড়িতে যাই, শুভেচ্ছা বিনিময় করি।

ঈদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিশিষ্ট কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, খুব মিস করি শৈশবের সেই আনন্দের ঈদকে। সেই দিন, সময় আর ফিরে পাওয়ার নয়। ব্যস্ততাময় এই প্রবাস জীবনে পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে যদিও ঈদ করি, কিন্তু সেই সময়ের ঈদ এখন কেবলই স্মৃতি।