বিগত -১০ মাস যাবত জালালাবাদ ভবন ক্রয় নিয়ে যে কাঁদাছোরাছুরি চলছে তা খুবই দুংখজনক। আমি জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা লেখা-লেখি পর্যবেক্ষন করছি। ১১ ১৮ জুন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা দুটি সাধারন সভায় আমি উপস্হিত ছিলাম এবং closely পর্যবেক্ষন করেছি। শুনেছি সেক্রেটারীসহ তিনজন বর্তমান প্রাক্তন কর্মকর্তাকে বহিস্কার করা হয়েছে যা খুবই দুংখজনক। সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলামকে চুরি, টাকা আত্মসাৎ নিজ নামে জালালাবাদের তহবিল তসরুফ এর অপরাধে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুনেছি ভবন কেনার জন্য আগের কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল এবং তাতে সভাপতির সাক্ষর রয়েছে। সেক্রেটারী মইনুল ইসলাম আলাদা একটি করপোরেশন করে জালালাবাদ এসসোসিয়শনের টাকা নিয়ে $870k দিয়ে বাড়ীটি কিনেছে এবং আরো $240k খরচ করে বাড়ীটি renovate করেছে। closing costs renovation সহ বাড়ীটির মূল্য পড়েছে $1.15 million এবং তার বর্তমান appraised value $1.35 million. সুতরাং এই মূহুর্তে এই বাড়ীর মোট লাভ $200k. তাছাড়া it’s located in Astoria, New York. সুতরাং বাড়ীটি জালালাবাদবাসীর জন্য একটি goldmine. And so secretary মইনুল ইসলাম deserves the credit for buying it. বাড়ীটি কিনতে গিয়ে কিছু irregularities হতেই পারে এবং এগুলো ক্ষমার যোগ্য। এগুলো কোন crime নয়। এসবকে কেন্দ্র করে সেক্রেটারীকে বহিস্কার আজ প্রশ্নবিদধ। অধিকাংশ জালাবাদবাসী আজ ভবনের পক্ষে।

এটা নিয়ে ১১ জুন সাধারন সভা ডাকা হয়েছিল। সাধারন সভায় সবার উপস্থিতি কাম্য ছিল। কিন্তু দেখা গেল অনেককে ঢুকতে দেয়া হয় নি। আয়োজনকারী এবং security এমন আচরন দেখে অনেকে অশ্রুশিক্ত হয়েছেন। শুনেছি প্রাক্তন সেক্রেটারী সেফাজকে বের করে দেয়া হয়েছে। প্রাক্তন সভাপতি ৮০ বছর বয়সী জনাব শওকত চৌধুরীকে security অপমান করেছে এবং আমার চোখের সামনে secretary মইনুল ইসলামকে ধাক্কিয়ে বের করে দিয়েছে। this is unacceptable এবং সিলেটীদের জন্য খুবই অপমানজনক। তারপর আরো কিছু লোককে বের করে দেয়া হল এবং প্রায় অর্ধেক লোকই walk out করল। সভার কাজ শুরু হল। বক্তারা বক্তব্য দিলেন এবং অনেকেই মইনুল ইসলামকে চোর টাকা আতমসাতকারী বলে অভিহিত করেছেন। সব বক্তাই ছিল একতরফা। দুজন অবশ্য বলেছেন যে সবই একতরফা বক্তৃতা হচ্ছে। আমি রাত ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত বসে বক্তৃতা শুনেছি। আমিও কথা বলার জন্যে নাম পাঠিয়েছিলাম কিন্তু আমি সুযোগ পাই নি। পরে শুনলাম resolution পাশ করা হয়েছে মইনুল ইসলাম বহিস্কার। আমরা সাধারন মেম্বার গিয়েছিলাম উভয় পক্ষের কথা শুনতে। কিন্তু দেখলাম শুধু একপক্ষই কথা বলছে এবং অন্যপক্ষ বাইরে প্রতিবাদ করছে শ্লোগান দিচ্ছে। কাউকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে ফাঁসী কার্যকর করা কোন আদালত সমর্থন করে না। ১১ জুনের সভায় মইনুল ইসলামকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে হেনস্থ করে বের করে দেয়া হয়েছে। সভার আয়োজক অথবা মঞ্চে উপবিষ্ট কেউই তাকে ডেকে নিয়ে এসে তার বক্তব্য শোনার প্রয়োযজন মনে করেন নি। তবে জনাব আবুল হাসিব মামুন সামান্যতম হলেও তার বক্তৃতায় বলেছেনআপনারা কেউ পারলে যারা বেরিয়ে গেছেন তাদের ডেকে নিয়ে আসতে পারেন কিন্তু তখন রাত সাড়ে দশটা তাদের সবাই চলে গেছেন। সভায় উপস্হিত অর্ধেক লোক বের হয়ে যাওয়ার পর এই সভার বৈধতা এবং সভায় পাশ করা resolutions এর বৈধতা কতটুকু?

১৮ জুনের অপর পক্ষের জরুরী সভায়ও security ছিল কিন্তু তারা বডি তললাশী মারমুখী কোন আচরন করে নি। এই সভায় অনেকেই অপর পক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আমাকেও কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। আমি ভবনের পক্ষে কথা বলেছি এবং মইনুল ইসলামের প্রতি যে অন্যায় অবিচার করা হয়েছে তার উপর analytic কথা বলেছি। আমি ১১ই জুন পর্যন্ত নিরপেক্ষ ছিলাম কিন্তু ঐদিন একতরফা সভা এবং তাদের মারমুখী আচরণ দেখে মইনুল ইসলামকে মজলুম মনে হয়েছে এবং তাই মজলুমের defend করা সমমিচীন মনে করি।

আমি মনে করি আপোষ মিমাংসা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। ভবনটি রক্ষা করা প্রয়োজন। এবং যেহেতু secretary মইনুল ইসলামকে publicly অপমানিত করা হয়েছে he needs a public apology.

অন্যথায় মাসের মধ্যে election করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

Constitution amendment is necessary. The board of trustees should be elected by the general members and not selected by the executive committee.

লেখক : ডা. জুন্নুন চৌধুরী, বাড়ী- তাজপুর, ওসমানীনগর।

১৯৮৫ সালে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ১ম গঠনতন্ত্র প্রণেতা।