NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

সন্তান ধারণে অক্ষম মেয়েকে নিজের জরায়ু দান করলেন মা


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:১১ এএম

সন্তান ধারণে অক্ষম মেয়েকে নিজের জরায়ু দান করলেন মা

দেহে জরায়ু না থাকায় মেয়ে সন্তান ধারণ করতে পারছেন না, তাই নিজের জরায়ু তাকে দান করলেন মা। সেই জরায়ু নিজের দেহে প্রতিস্থাপন করে গর্ভধারণও করতে সক্ষম হয়েছেন মেয়ে।  

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলসে ঘটেছে এই ঘটনা। রাজ্যের বাসিন্দা কার্স্টি ব্রায়ান্ট তার মা মিশেল হেইটনের জরায়ু নিজের দেহে প্রতিস্থাপন করে গর্ভধারণ করেছেন। বর্তমানে সাত সপ্তাহ চলছে তার।

অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম জরায়ু প্রতিস্থাপনের ঘটনা ঘটল। বিভিন্ন অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্স্টি ব্রায়ান্টের প্রথম সন্তানের জন্মের পর জরায়ুতে রক্তক্ষরণের কারণে অস্ত্রোপচার করে তা বাদ দিতে হয়। ফলে শারীরিকভাবে সন্তানধারণে অক্ষম হয়ে পড়েন কার্স্টি।

কিন্তু দ্বিতীয়বার মা হওয়ার একান্ত ইচ্ছা ছিল তার। মেয়ের এই ইচ্ছা পূরণের জন্যই তাকে জীবনের সেরা উপহারটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মিশেল হেইটন। নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনির একটি হাসপাতালে ১৬ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর কার্স্টির দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় তার মা মিশেলের জরায়ু। তার কয়েক সপ্তাহ পরই গর্ভধারণ করেন কার্স্টি।

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্স্টি আমার সন্তান যে জরায়ুতে বেড়ে উঠছে আমিও এক সময় সেই জরায়ুতেই বড় হয়েছি এটা ভেবেই আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। আমার শরীর এত বড় অস্ত্রোপচার নিতে পেরেছে— এতে আমি অবাক। আমার মা আমায় জীবনের সেরা উপহার দিয়েছেন। তিনিও খুব খুশি।’

তবে জরায়ু প্রতিস্থাপন সম্ভব হলেও তার সঙ্গে স্নায়ুর সংযোগ ঘটানো সম্ভব হয়নি। এদিকে ডিসেম্বরের দিকে সন্তানের জন্ম দেবেন কার্স্টি। কিন্তু স্নায়ুর সংযোগ না থাকায় প্রসব যন্ত্রণা উঠলেও ‍তিনি তা টের পাবেন না।

ফলে কার্স্টির গর্ভাবস্থা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিমুহূর্তে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হচ্ছে। সন্তান জন্মের আগ পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকতে হবে তাকে।

‘আমার স্বামী এখনও খানিকটা স্তব্ধ অবস্থায় আছে। আমি যে দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করতে পেরেছি— এটা তার কাছে স্বপ্নের মতো। আমার বন্ধু-বান্ধব, স্বজনরা অনেকেই একে অলৌকিক ঘটনা বলছে, কিন্তু আমি তাদের বলেছি—অলৌকিক কোনো ঘটনা নয়, এটা বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের কারণেই আমি দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করতে পেরেছি।’