খবর প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:০৪ এএম
রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনি
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একতলা ভবনের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি ক্লাস রুমের ছাদ, ছাদের ভিম ও দেয়ালে অসংখ্য ফাটলের সৃষ্টি হয়ে মরিচায় ধরা রড বের হয়ে গেছে। পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এক পশলা বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি কক্ষের ভিতরে পড়ে একাকার হয়ে যায়। বেহাল হয়ে পড়া ভবনের ছাদ ও দেয়াল ভেঙ্গে যে কোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এদিকে সন্ধ্যা নদীর বৃহৎ শাখা খালের পাড়ে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য নেই কোনো বড় মাঠ। জোয়ারের পানিতে অনেক সময় বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে টইটুম্বুর হয়ে যায়। এছাড়া ৫ পোস্টের এ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বদলি হয়ে যাওয়ায় ৪ জন শিক্ষক দিয়েই পাঠদান করানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়ও চরম ব্যহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) শহীদুল ইসলাম জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শঙ্কায় আছি।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ও বানারীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জানান, বিষয়টি আমার নজরে আছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলবো। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক বলেন,বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, করপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রয়াত ওসমান গণি হাওলাদার। বিদ্যালয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থবছরে ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে নির্মিত হয়। ২০০০ সালে এটি পুনঃনির্মাণ করা হয়। কিন্তু ভবন নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় জরাজীর্ণ অবস্থায় রূপ নিয়েছে। শিক্ষক ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসী দুর্ঘটনা এড়াতে ও শিশুদের নির্বিঘেœ পাঠদান নিশ্চিত করতে দ্রুত সংস্কার কিংবা নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।