ঢাকা: প্রতিবছরের মতো এবারও আজাদ প্রডাক্টসের আয়োজনে ‘রত্নগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ প্রদান করা হয়েছে। আজ রবিবার এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ৩৬ জন মায়ের হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, 'শাশ্বতকাল থেকেই সন্তানের সফল ও পরিপূর্ণ জীবন গঠনে মায়েদের প্রভাব অনস্বীকার্য। আমরা আর কোনো মায়ের ওপর নির্যাতন ও অবহেলা দেখতে চাই না। মায়েদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে, ভালোবাসতে হবে।'
রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আজাদ প্রডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিশিষ্ট নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল) প্রমুখ।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, 'বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবও একজন রত্নগর্ভা মা, যিনি শত প্রতিকূলতার মাঝেও সন্তানদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বঙ্গমাতার মতো চারিত্রিক গুণাবলী সব রত্নগর্ভা মায়ের মাঝেই রয়েছে। কারণ সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করতে তারা অসীম ত্যাগ স্বীকার করেন। তার পরও কোনো কোনো সময় মায়ের প্রতি নির্যাতন ও অবহেলার খবর আসে। এটা বন্ধ করতে হবে।'
তিনি আরো বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়েদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সন্তানের পাসপোর্টে পিতার পাশাপাশি মায়ের নাম সংযুক্ত হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে ছয় মাস হয়েছে। এ ছাড়া তিনি দরিদ্র মায়েদের জন্য গর্ভকালীন ভাতাও চালু করেছেন।' সব মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিশ্চিত করতে সন্তানদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, 'সন্তানের সফলতার পেছনে মা-বাবা দুজনেরই অবদান থাকলেও মা-ই কঠোর পরিশ্রম এবং নিজের স্বপ্নের মাঝেই সুশিক্ষা দিয়ে সন্তানকে গড়ে তোলেন। এতে সন্তানরা দেশে-বিদেশে আলোকিত হয়। সন্তানের সঙ্গে মায়েদের সার্বক্ষণিক অন্তরঙ্গ যোগাযোগ থাকে।' মায়েদের প্রতি আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য সব সন্তানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা শেষে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২৫ জন এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে ১১ জন মায়ের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল’ সম্মাননা পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। ২০০৩ সাল থেকে গত ২০ বছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হচ্ছে।
সাধারণ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন মাহমুদা নুরুন নাহার, জায়েদা খাতুন, হাসিনা আক্তার, সুফিয়া বেগম, রওশন আরা, সৈয়দা রোকসানা বেগম, আয়শা আক্তার, আরজিমা চৌধুরী, দিলরুবা খানম, মাহমুদা বেগম, রোকেয়া বেগম, মাসুদা খাতুন, জাহানারা আক্তার, রীনা খান, রৌশন আখতার, হালিমা খাতুন, আহসান সাবেরা কামাল, আনিস ফাতেমা জেসমিন, ফাতেমা মুনসেফ, বাসন্তি রানী ধর, ফরিদা খানম, আয়েশা বেগম, ফাতেহা হোসেন, আঁখি রানী সূত্রধর ও আঞ্জুমান আরা বেগম।
বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন যমুনা বিশ্বাস, রহিমা বেগম, আফরোজা বেগম (তামান্না), মহিনূর বেগম, মনোয়ারা বেগম, মেহেরুন নেছা খানম, শাম্মীয়ারা আক্তার, অধ্যাপক রহিমা খাতুন, মিলন রহমান, শামসুন্নাহার চৌধুরী ও সামসুন নাহার।