NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ১৭, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র -ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আরও গভীর তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে এবার বড় ধাক্কা আল নাসরের ফিরছে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান
Logo
logo

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সরকারের স্থায়িত্ব দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সরকারের স্থায়িত্ব দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সরকারের স্থায়িত্ব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ইচ্ছামতো সরকার ভাঙা-গড়া করতে পারছেন না বলেই অনেকেই ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের কথা বলছেন। 

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরির সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারের শরীক ওয়ার্কার্স পর্টি ও জাসদ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্য স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন। তারা সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের দাবি জানান। সর্বশেষ বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদেরও একই দাবি জানান। 

ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সরকার স্থায়িত্ব পেয়েছে। এই বিধান না থাকায় পাকিস্তান আমলে যুক্তফ্রন্টের সরকারও ভেঙে যায়। এমনকি ১৯৪৬ সালে ভারতের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারও স্থায়ি হয়নি।

তিনি আরো বলেন, সরকারের স্থায়িত্ব আছে বলেই উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। তারা সরকার ভাঙা-গড়া করতে চায়। কিন্তু এটা আমরা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না।

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করছি এবং সে কারণেই ২০০৮ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, ফলে এখানে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। মাঝে মাঝে বাধা আসে, কিন্তু সেগুলো অতিক্রম করে আমরা দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছি।’ এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি শিশুর মুখ দিয়ে মিথ্যা বলানো- ভাত-মাংসের স্বাধীনতা চাই। একটি সাত বছরের শিশুকে দিয়ে বানানো, তার হাতে দশটা টাকা তুলে দেওয়া এবং তার কথা রেকর্ড করে সেটা প্রচার করা স্বনামধন্য এক পত্রিকায় নাম প্রথম আলো। এরা এদেশে কখনো স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না। তিনি আরো বলেন, প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সালে দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল। তাদের সাথে আছে একজন সুদখোর (ড. মুহাম্মদ ইউনুস)। যে বিনিয়োগ করে আমেরিকায়। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞেস করে না যে গ্রামীণ ব্যাংক- এটাতো একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলত যে এমডি। সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেল যে আমেরিকার মত জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করে, বিনিয়োগ করে। দেশে-বিদেশে করা এই বিনিয়োগের এই অর্থ কোথা থেকে আসে? এটা কি তাকে কখনো জিজ্ঞেস করেছে? জিজ্ঞেস করেনি।

প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের কাছ থেকে দুর্নীতির কথা শুনতে হয়। এদের কাছে মানবতার কথা শুনতে হয়। যারা গরীবের রক্ত চুষা যারা গরিবের টাকা পাচার করে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়। আর এইসব লোক এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের বিষয়ে সতর্ক আছে।