NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ১৮৪ জন রোহিঙ্গা


খবর   প্রকাশিত:  ০৮ আগস্ট, ২০২৪, ০৯:২৪ এএম

>
সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ১৮৪ জন রোহিঙ্গা

মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশ ও বাংলাদেশের টেকনাফের শরণার্থী শিবির থেকে ১৮৪ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু নৌপথে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন। রোববার গভীর রাতে এই রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাগুলো প্রদেশে পূর্ব আচেহ জেলার গিয়ে ভেড়ে।

ঠিক কতগুলো নৌকায় করে তারা পূর্ব আচেহতে গেছেন— তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের জেষ্ঠ্য সদস্য মিফতাহ কুত আদে এবং পুলিশের মুখপাত্র কামিল বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এই রোহিঙ্গারা পৌঁছান। তাদের মধ্যে ৯০ জন নারী ও শিশু রয়েছেন এবং শারীরিকভাবে সবাই সুস্থ আছেন।’  

বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর তকমা পাওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সবচেয়ে অবহেলিত- অধিকারবঞ্চিত জনগোষ্ঠী ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যতম নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর তকমা পেয়েছে। ২০১৭ সালে আরাকান রাজ্যের কয়েকটি পুলিশ ও সেনা ছাউনিতে একযোগে বোমা বিস্ফোরণের পর স্থানীয় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

অভিযানে অব্যাহত হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন-লুটপাট-গ্রামের পর গ্রাম অগ্নিসংযোগের মুখে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু।

মিয়ানমারে কোনো ভবিষ্যত নেই বুঝতে পেরে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সাগরপথে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। অন্যদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যখন বুঝতে পেরেছেন— এই দেশের মূলস্রোতে মিশে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তখন তারাও শামিল হচ্ছেন এই যাত্রায়।

ফলে সাগরপাড়ি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রোহিঙ্গাদের হার দিন দিন বাড়ছে। ২০২২ সালে যত সংখ্যক রোহিঙ্গা সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন— তা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।

আবহাওয়াগত কারণে নভেম্বর থেকে এপ্রিল— ৫ মাস শান্ত থাকে এশিয়া অঞ্চলের সাগরগুলো। এ কারণে এই সময়েই হয় অধিকাংশ নৌযাত্রা। তবে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়— সেসবের অধিকাংশই থাকে ত্রুটিপূর্ণ। ফলে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুরা নিজেদের জীবন হাতে নিয়েই ওঠেন এসব নৌকায়।

নৌকাডুবি, বৈরী সামুদ্রিক আবহাওয়া ও ক্লান্তিজনিত কারণে গত এক দশকে অসংখ্য রোহিঙ্গার সলিল সমাধি ঘটেছে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে।