খবর প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
নদ-নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে নীচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে এখনো পুরোপুরি পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি এসব এলাকার বন্যাকবলিত মানুষদের। এ ছাড়া এখনো স্বাভাবিক হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমন অবস্থায় নিজেদের খাদ্য সংকটের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যসংকট নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যাকবলিত এসব পরিবারগুলো।
বন্যাবন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে ভাঙন। অনেকেই বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যাদের সামর্থ্য আছে তারা বিভিন্ন উঁচু এলাকায় চলে যাচ্ছেন, তবে নিতান্তই যাদের উপায় নেই, নিয়তিই তাদের একমাত্র ভরসা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ফারাজি পাড়ার বাসিন্দা মর্জিনা বেগম, মুর্শিদা ও দুলালী বেগমের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এক বছর আগে এই পাড়ার ২০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে তৃতীয় বারেরমতো এই গ্রামে বসতি গড়ে তোলেন। কিন্তু আবারও ভাঙনে এখন দিশেহারা পরিবারগুলো। কী করবেন, কোথায় যাবেন, জানেন না তারা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বুড়ির হাট এলাকার শাহিন বলেন, গত বছর তিস্তার ভাঙনে এখানকার অনেক ঘরবাড়ি নদীতে বিলিন হয়েছে। এ বছরও ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থায়ীভাবে তো একটা সমাধান করতে হবে, তাই না ভাই? যখন ভাঙে তখন কাজ করে, এটা কেমন কথা ভাই বলেন? আর সারা বছর কোনো কাজ নাই। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, আমার ইউনিয়নের গারুহাড়া, বানিয়া পাড়া ও ফারাজি পাড়া এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু বানিয়া পাড়ায় কিছু কাজ করেছে। পরবর্তীতে ওই দুটি এলাকায় কাজ করবেন বলে কথা রয়েছে।