খবর প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৮:১২ এএম
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে ১৪৪৪ হিজরির পবিত্র রমজান মাস আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বুধবার (২২ মার্চ) শেষ হবে শাবান মাস এবং বৃহস্পতিবার রমজানের প্রথম রোজা। এই মাসকে স্বাগত জানিয়েছে গোটা মুসলিম উম্মাহ। পবিত্র রমজান মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ মাস। চাঁদ দেখার পর দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এশার নামাজ শেষে তারাবির নামাজ পড়েন। তাঁরা ভোররাতে সাহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করেন। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তারা।
রমজান হলো, নিজেকে আত্মশুদ্ধির চর্চায় উজ্জীবিত করার মাস। এ মাস হলো, সাধনার মাধ্যমে একজন সফল মুমিন হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার। সব অনৈতিকতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে পরিশুদ্ধি ও আত্মগঠনের প্রশিক্ষণ নেয়ার মাস রমজান। জীবনের সব ধরনের অনিয়মকে বিতাড়িত করে নিয়মতান্ত্রিকতার অনুশীলনের অনন্য মাস এটি। সেই প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনকে কাজে লাগাতে হয় সারা বছর।
ইসলামে শরিয়ত নির্দেশিত বিধানগুলো কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়। ইবাদত করার পাশাপাশি, তার দর্শন ও অন্তর্নিহিত শিক্ষানুযায়ী জীবনযাপনের মধ্যেই রয়েছে ইবাদত পালনের সার্থকতা। আর রোজার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো তাকওয়া অর্জন। রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়াভিত্তিক জীবনাচরণে অভ্যস্ত হওয়া, আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা করা এবং তাঁর সব নিয়ামতের জন্য পূর্ণ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে মহান রবের কাছে সমর্পণ করা। এদিকে রমজান উপলক্ষে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, সংগঠন বা ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ও কমিউনিটি সেন্টারে ইফতারের আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যে মসজিদ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ইফতার আয়োজনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।
মসজিদে মসজিদে ইফতার আয়োজনের পাশাপাশি হবে তারাবি নামাজের আয়োজন। ঘরে ঘরে এই মাসে হবে নানা ধর্মীয় আয়োজন। তার মধ্যে অন্যতম কোরান খতম।
এদিকে পবিত্র মাসকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে রমজানের গুরুত্ব, তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনেক জায়গায় ছোট ছোট ছেলেমেয়ের মাঝে পবিত্র কোরআন পাঠ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে।
এনওয়াইপিডি’র প্রি-রমজান কনফারেন্সে বাংলাদেশি ইমামদের যোগদান
নিউইয়র্ক শহরের পুলিশ বিভাগ প্রতি বৎসর পবিত্র মাহে রমজান শুরুর আগে আগে এই কনফারেন্সের আয়োজন করে থাকে। উদ্দেশ্য, শহরের মসজিদের মুসল্লি ও সংশ্লিষ্টরা যেনো কোন বাধা-বিপত্তি ছাড়াই অনায়াসে রমজান, ইফতার ও সালাতুত তারাবীহ পালন-আদায় করতে পারেন। বাংলাদেশি ইমামদের পক্ষে ইমাম কাজী কায়্যূম, ইমাম মুতাওয়াক্কিল বিল্লাহ রাব্বানী, ইমাম ফয়সল জালালী, ইমাম মুসতানজিদ বিল্লাহ রাব্বানী, ইমাম রফীক রিফায়ী ও ইমাম লুৎফুর রহমান কাসিমী প্রমুখ উক্ত কনফারেন্সে যোগদান করেন। গত মঙ্গলবার ২১ মার্চ দুপুরে এই অনুষ্ঠানটি শহরের ওয়ান পুলিশ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়।