NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হয়েছে, মানুষ হত্যা হয়েছে: গ্রেগরি মিক্স


খবর   প্রকাশিত:  ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:২১ এএম

শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হয়েছে, মানুষ হত্যা হয়েছে: গ্রেগরি মিক্স

‘নির্বাচনের সময় বাংলাদেশেই শুধু সহিংসতা হয় না, যুক্তরাষ্ট্রেও হয়। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গাবাজরা পুলিশ হত্যা করেছে’ এমন সরল স্বীকারোক্তি করেছেন মার্কিন কংগ্রেসে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির র‌্যাংকিং মেম্বার কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স। যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপির সাথে ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্প্রতিবার অপরাহ্নে নিজ অফিসে এক বৈঠকে কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।

ডেমক্র্যাটিক পার্টি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অটুৃট রাখতে পারলে গ্রেগরি মিক্স তার চেয়্যারম্যানশিপও অটুট রাখতে পারতেন। গত নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় তাকে সিনিয়র মেম্বার হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে গ্রেগরি মিক্সের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর হওয়ায় আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তার মতামতের গুরুত্ব একটুও কমেনি বলে সকলেই মনে করেন। সে আলোকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার অফিসে ঐ বৈঠকের সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। কংগ্রেসমান গ্রেগরি মিক্স এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তির্পূর্ণ নিষ্পত্তির ব্যাপারটি আসিয়ানের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করলে সাথে সাথেই ড. মোমেন জানান, আসিয়ান একা করলে হবে না, ইউএস মাস্ট টেইক দ্য লিডারশিপ। এ সময় কংগ্রেসম্যান জানান যে, এ নিয়ে তিনি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন। 

এ পর্যায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে আলোকপাতকালে উল্লেখ করেন, নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে অনেকে ভায়োলেন্স হয়। যুক্তরাষ্ট্রে তো ভায়োলেন্স হয় না। একথা শেষ হবার আগেই কংগ্রেসম্যান মিক্স উল্লেখ করেন, নো, রিমেম্বার সিক্সথ জানুয়ারি (২০২১) উই কিল্ড দ্য পিপুল। আমাদের দেশেও (যুক্তরাষ্ট্রে) ভায়োলেন্স হয়েছে।

 

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ এ নেতাকে অবহিত করেন, আমরা অবাধ-সুষ্ঠু-জবাবদিহিতামূলক নির্বাচন করতে চাই। সে জন্যে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। আমরা বায়োমেট্রিক ভোটার আইডি তৈরি করেছি যাতে ফ্রড না হয়। কারণ, আমাদের আগে যে সরকার (বিএনপি-জামাত জোট) ছিল তারা সোয়া কোটিরও মত জাল ভোট বানিয়েছিল। এখন আর সে সুযোগ নেই। আমরা এখন স্বচ্ছ ব্যালট বক্স তৈরি করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা স্বাধীন একটি নির্বাচন কমিশন করেছি। নির্বাচনের সময় তারাই হবেন বস। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সবকিছু করতে পারবেন। এভাবে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছি। বাংলাদেশে ৪৫০০ পোলিং বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে হয়তো একশটি বুথে ভায়োলেন্স হয়। আর সেটিই হয়ে উঠে মিডিয়ার শীর্ষ সংবাদ। আমরা তেমন পরিস্থিতি দেখতে চাই না। 

কংগ্রেসম্যানের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, তোমাদের যদি বুদ্ধি-পরামর্শ থাকে তা আমাদের জানাও কী করতে হবে, কী করলে ভায়োলেন্স থামানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশের বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত একটি রাজনৈতিক দল প্রতিবাদের নামে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছে, সেটি আর বরদাশত করা হবে না।

কংগ্রেসম্যান উল্লেখ করেন, আমাদের দেশেও এমন আচরণ সহ্য করা হয় না। 
ড. মোমেন কংগ্রেসম্যানকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিশ্বে বাংলাদেশ হচ্ছে একমাত্র একটি দেশ, যেটি গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে যুদ্ধ করেছে। স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণ দিয়েছে ন্যায়বিচার সমুন্নত করতে। সত্তরের নির্বাচনে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার পরও তদানিন্তন পাকিস্তানি শাসকেরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ছাড়তে চায়নি। সে সময়েই ন্যায্য দাবি ও অধিকার আদায়ের জন্যে বাঙালিরা সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছি। এটা বলতে হচ্ছে এ কারণে যে, আমাদের রক্তের সাাথে মিশে আছে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এব্ং ন্যায়-নিষ্ঠার ব্যাপারগুলো। সে তাগিদেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি অবলম্বন করেছেন।

এ সময় কংগ্রেসম্যান বলেন, এসব আমরা দেখতে যেতে চাই। কেননা আমার অফিসে অনেক লোক এসে বাংলাদেশের ব্যাপারে উল্টা-পাল্টা কথা বলে। কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রে এসাইলাম পাবার স্বার্থে নানা কথা জানায়। এসব আমাকে শুনতে হয়, কারণ, যারা আসেন তারা আমার এলাকার বাসিন্দা, কেউ কেউ ভোটারও। আপনি যেসব তথ্য জানালেন তা কেউ জানাতে আসে না।
ড. মোমেন সাথে সাথে তাকেসহ কংগ্রেসনাল টিমকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাবেন বলে উল্লেখ করেন। 

হৃদ্যতাপূর্ণ এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, নিউইয়র্কস্থ কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) তৌফিক ইসলাম শাতিলসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেসম্যানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত ও প্রশংসিত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উপর আলোকপাত করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার যে অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে তা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করার বিষয়ে কংগ্রেসম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  

কংগ্রেসম্যান মিক্স বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ’বন্ধুরাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দু’দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনী রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কংগ্রেসম্যানের সমর্থন কামনা করেন।

র‌্যাবকে জঙ্গিবাদ, সহিংস চরমপন্থা, মাদকনিয়ন্ত্রণ ও মানব পাচারসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ও নির্মূলে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি অত্যন্ত দক্ষ ও কার্যকরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একযোগে কাজ করবে মর্মে অবহিত করেন।  বৈঠকের পর এসব তথ্য এ সংবাদদাতাকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 
রোহিঙ্গা রেজ্যুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহবান 

এদিকে, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ২৩ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি। সভাটিতে ব্রুনেই দারুসসালাম, কানাডা, জিবুতি, মিশর, গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, সেনেগাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এবং অন্যান্য পর্যাযের কূটনৈতিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া, জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওআইসির স্থায়ী পর্যবেক্ষণ মিশনেররাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মত মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিষয়ক একটি রেজুল্যুশন (২৬৬৯) গৃহীত হয়।

এতে মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যাসহ রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের বিষয়টিও বিশেষভাবে প্রাধান্য পায়। এছাড়া, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিগত বছরগুলোতে নিয়মিতভাবে রোহিঙ্গাবিষয়ক রেজ্যুলেশন পাস হয়। নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের রোহিঙ্গা বিষয়ক এই রেজুল্যুশনগুলোকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জোরালো আহবান জানানোই ছিলএই সভার মূল উদ্দেশ্য ।

বক্তব্য প্রদানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে সফলতা না আসায় হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি এর ফলে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্ভাবনার কথা পুনঃউল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মত ছোট আয়তনের দেশে বিশাল জনসংখ্যাসহ অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তার ওপর মিয়ানমার থেকে আগত ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি গৃহীত রেজ্যুলেশনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ান এর নেতৃত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন।

সভায় বক্তরা রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐক্যমত্যের সফল বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন। তাছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা। সভায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা মিয়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় এবং সকল ধরনের মানবিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উলে­খ্য, এ সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।