খবর প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:২৭ এএম
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার নিহতের ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এতো হতাশার মাঝেও এসেছে ‘অলৌকিকভাবে’ জীবিত উদ্ধারের নানা গল্প। এটি এমনই এক গল্প।
গত ২৭ জানুয়ারি নেকলা কামুজ যখন তার দ্বিতীয় ছেলে সন্তানের জন্ম দেন, তখন তিনি তার নাম রাখেন ইয়াগিজ, যার অর্থ সাহসী।
ঠিক ১০ দিন পর স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭মিনিটে নেকলা তার ছেলেকে দক্ষিণ তুরস্কের হতায়ে প্রদেশে নিজ বাড়ির ভেতরে খাওয়াচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান। নেকলা এবং তার পরিবার সামান্দাগ শহরে একটি আধুনিক পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন।
‘এটি বেশ সুন্দর একটি ভবন’, তিনি বলেন। সেখানে নিজেকে নিরাপদ মনে করতেন তিনি। সেই সকালে তিনি জানতেন না যে এলাকাটি ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন, প্রতিটি মোড়ে মোড়ে থাকা ভবনগুলো লণ্ডভণ্ড এবং ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প শুরু হয়েছিল, আমি আমার স্বামীর কাছে যেতে চেয়েছিলাম যিনি অন্য ঘরে ছিলেন এবং তিনিও সেটাই চেয়েছিলেন।’
‘কিন্তু যখন তিনি আমাদের অন্য ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে আসার চেষ্টা করেছিলেন, তখন ওয়ারড্রবটি তাদের ওপর আছড়ে পড়ে। তখন তাদের পক্ষে নড়াচড়া করা অসম্ভব ছিল।’
‘ভূমিকম্প যখন ভয়াবহ রূপ নেয় তখন দেয়াল ভেঙে পড়ে। ঘরটি ভীষণ কাঁপছিল এবং ভবনটি জায়গা থেকে সরে যাচ্ছিল। যখন কম্পন থামে, আমি বুঝতে পারিনি যে আমি এক তলা নিচে পড়ে গিয়েছি। আমি তাদের নাম বলে চিৎকার করেছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি,’ বলেন তিনি। ৩৩ বছর বয়সী এই নারী তার বাচ্চা বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কার করেন। তার পাশে পড়ে থাকা ওয়ারড্রবটির কারণে কংক্রিটের একটি বড় স্ল্যাবে পিষ্ট হতে হতে তারা বেঁচে যান।