খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ নারী দল এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ জয় নিয়েই দিশা বিশ্বাসের দল পৌঁছেছিল সুপার সিক্সে। তবে সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫ উইকেটে হেরে সেমিফাইনালে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের।
গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তি দলকে হারানোর পর দেশজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিল দিশা বিশ্বাসরা। দলের এমন সাফল্যের পর দলের অধিনায়ক দিশার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমনটিই জানিয়েছেন দলটির কোচ দিপু রায় চৌধুরী।
আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের বোর্ড সভাপতি সবসময় আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে একজন নারী। তিনি সবসময় উৎসাহ দেন, পর্যবেক্ষণে রাখেন। আমাদের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন, কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন। সবমিলিয়ে আমরা খুবই এক্সাইটেড বোর্ড সহ সবার এমন সমর্থন পেয়ে। আমাদের দেশের জনগণের কথাও বলতে হয়, বাংলাদেশ একটা ক্রিকেট প্রেমী দেশ। সবাই খোঁজ খবর রাখে তরুণ ক্রিকেটাররা কেমন করছে।
মেয়েদের এমন সাফল্যের কারণ জানিয়ে দিপু রায় বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কারণ আমরা চেয়েছি পাওয়ার ক্রিকেটটা খেলতে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা। আর আমরা এখানে কিছু ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যা দেখে আমি আনন্দিত। আমাদের মেয়েরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে দেখাটা আনন্দের।
তিনি যোগ করেন, ছেলেদের সঙ্গে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। আর এভাবেই ওরা তৈরি হয়েছে। ওরা পেস বোলারদের ভয় পায় না। আমরা দেখেছি অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের পেসাররা ছেলেদের চেয়ে কম যায় না। কিন্তু ওদের বিপক্ষে সাবলীলভাবে খেলেছে আমাদের মেয়েরা। আমাদের আসলে নারী ক্রিকেট নিয়ে পরিকল্পনাটা ভালো ছিল।
মেয়েদের উঠে আসার গল্প জানিয়ে কোচ দিপু রায় বলেন, আমরা তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনি যেন একটা প্রতিভাও মিস না হয়। আমাদের নারী দলের ক্রিকেটাররা এখন বোর্ডের চুক্তিতে থাকে। এসব নারী ক্রিকেটকে আরও উৎসাহী করে যেন নারীরা এটাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে। এটাই নারীদের জীবন যাত্রা বদলে দিতে পারে। কারণ এরা যদি এখানে ভালো করে সবাই আরও উৎসাহী হবে আরও বেশি ক্রিকেট খেলতে। এটা আমাদের দেশের জন্যও ভালো। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল তাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলানো ও দল হিসেবে গড়ে তোলা।