খবর প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:১৮ এএম
ঢাকা : সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বরং তা আরও বেড়েছে। সিলেট নগরীতে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার, মিরাবাজার শিবগঞ্জসহ অনেকগুলো এলাকা নতুন করে ডুবে গেছে। পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জেও পানি বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জি ও মেঘালয়েও ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এতে পাহাড়ি ঢল আরও বেগ পেয়েছে; যার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ অঞ্চল। সিলেট বিভাগের ৮০ ভাগের বেশি এলাকা এখন পানির নিচে। গ্রাম কিংবা শহর সব জায়গায় থই থই পানি। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ।
আগামী দুই দিন বন্যার পানি আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এ অবস্থায় শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে দুই জেলাতেই। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শুকনা খাবার বরাদ্দ হলেও নৌযান সংকটে অনেক জায়গায়ই পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
অনেকেই নিজ উদ্যোগে শুকনো খাবার নিয়ে গেলেও নৌযান ভাড়া বেশি হওয়ায় ফিরে আসতে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সিলেট-সুনামগঞ্জে নৌযান চালকরা ভাড়া কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগে যে ভাড়া ছিল ১ হাজার টাকা, তা বাড়িয়ে এখন চাওয়া হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে, ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করেছে সিলেট নগরীর বাসিন্দারা। রাতে নগরীর বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে এমন ঘোষণার পর স্থানীয়রা বাইরে নেমে নির্ঘুম রাত কাটান। অন্যদিকে, আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস।