খবর প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:০৭ এএম
ঢাকা: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ তলিয়ে যাওয়ায় সিলেটে ২৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বন্যার পানির কারণে সিলেটে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল তা সত্যি হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সড়ক ও বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নেয়া নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন তারা।
সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে আজ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। রোববার (১৯ জুন) থেকে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. ওয়া্দুদ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে গেছে। এগুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও জানান, বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। গোয়াইনঘাটে ৪৮ এবং কোম্পানীগঞ্জে ২৬ প্রতিষ্ঠানের সবগুলোতেই পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া, কানাইঘাটে ৩৭টি, জৈন্তাপুরে ১২টি, বিশ্বনাথে ১৩টি, সিলেট সদরে ১৯টি ও জকিগঞ্জে ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
সিলেটে বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশির ভাগ এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলারও বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষ পানিবন্দি। পানি বাড়ছে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, জকিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া এলাকার বাসিন্দা সেবুল আহমদের ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। সেবুল আহমদ বলেন, ‘ঘরে পানি, রাস্তায় পানি, পরীক্ষা কেন্দ্রেও পানি। এ অবস্থায় ছেলেমেয়েরা কীভাবে পরীক্ষা দেবে। তাই, আমি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।’
সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সিলেটে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী। ১৪৯ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, বন্যার পানিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯টি উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এসএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে। সূত্র: ইউএনবি