NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

কঙ্গোতে বন্যা-ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে ১৬৯


খবর   প্রকাশিত:  ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:২৬ এএম

>
কঙ্গোতে বন্যা-ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে ১৬৯

মধ্য-আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়কারীর কার্যালয় ওসিএইচএ এই তথ্য জানিয়েছে।  

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত কিনশাসায় ভারী বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কিনশাসার মন্ট-এনগাফুলা জেলায় অন্তত ২৮০টি বাড়ি এবং কঙ্গোর প্রধান জাতীয় মহাসড়কের বড় এক অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বন্যা-ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ১৬৯ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে।

ওসিএইচএ এবং কঙ্গোর সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ সমন্বয়কারী দল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার কিনশাসার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। দলটির ধারণা, দেশটিতে আকস্মিক এই বন্যায় প্রায় ৩৮ হাজার  মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ওসিএইচএর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ নিহতদের স্মরণে তিন দিনের জাতীয় শোক পালনের শেষ দিন। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে যারা মারা গেছেন তাদের যথাযথ মর্যাদার সাথে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে কঙ্গোর সরকার নিশ্চিত করেছে।’

একসময় কঙ্গো নদীর তীরে মাছ ধরার গ্রাম কিনশাসার হিসেবে পরিচিতি থাকলেও শহরটি এখন প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। আর জনসংখ্যার আকার বিবেচনায় আফ্রিকার বৃহত্তম মেগাসিটিগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে কিনশাসা।

দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর দ্রুত নগরায়নের বিকাশ ঘটায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কিনশাসা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশটিতে প্রায় ভারী বর্ষণ আর বন্যা দেখা যায়।

এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়।