NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

সিডনীতে আন্তর্জাতিক ভাষা উৎসব পালিত


খবর   প্রকাশিত:  ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:৩৬ এএম

সিডনীতে আন্তর্জাতিক ভাষা উৎসব পালিত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে বহু ভাষা ও বহুজাতির অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক ভাষা উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর সাবকন্টিনেন্ট ফ্রেন্ডস অব কেম্বেলটাউনের আয়োজনে এই আয়োজন করা হয়।

আয়োজক সংগঠনটি দীর্ঘদিন যাবৎ পৃথিবীর কোন ভাষা যাতে হারিয়ে না যায় তার অক্ষুন্নতা ও সংরক্ষণ করার কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় সভা, সেমিনার আয়োজন করে বহুজাতিক কমিউনিটির লোকজনকে নিজ নিজ মাতৃভাষাকে ব্যবহার ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। 

সংগঠনটি কেম্বেলটাউন এলাকায় একটি “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতি সৌধ” প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় কাউন্সিলে প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন। 

 

অনুষ্ঠানস্থল উৎসব মুখর পরিবেশ এবং রাজ্যের সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কাউন্সিলের কাউন্সিলর ও বহুজাতিক সংগঠন ও স্কুলের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্থানীয় অতিথিরা উপস্থিতি ছিল। প্রথম পর্বে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হবার পর নিউ সাউথ ওয়েলস কাউন্সিল প্যাসিফিক কমিউনিটির চেয়ারপারসন ম্যাল ফ্রুয়েন এব্রোজিনাল কান্ট্রি ল্যান্ডের স্বীকৃতি পত্র পাঠ করা শেষ করেন। 

উপস্থাপিকা দিপা মুখার্জীর আহ্বানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন। তিনি তার বক্তব্যে সংগঠনের আদর্শ উদ্দেশ্য তুলে ধরে বিশ্বে সকল মাতৃভাষার বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভাষা নিয়মিত ব্যবহার না করলে হারিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি তার সংগঠনের আজকের অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের ও কেম্বেলটাউন এলাকায় “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতি সৌধ” প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যোগে কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কাউন্সিলরদের সর্বপ্রকার সহযোগিতার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে একে একে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশন অব কমিউনিটি লেংগুয়েজ এর প্রতিনিধি মিসেস ওয়াফা সাবোর্ণ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ভাষাবিদ অজয় দাশ গুপ্ত এবং ভাষা বিশেষজ্ঞ এশ গোলকার। বক্তারা তাদের বক্তব্যে সকলের নিজ নিজ মাতৃভাষা রপ্ত ও ব্যবহার করার উপর জোর আরোপ করেন এবং কোন ভাষাই যেনো বিশ্বের বুক থেকে যাতে হারিয়ে না যায় তার উপর সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। 

উৎসবটিতে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সংসদের সদস্য ও শেডো মিনিস্টার এনালক চেন্টাভন তার বক্তব্যে সাবকন্টিনেন্ট ফ্রেইন্ডস অব কেম্বেলটাউনের উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানান এবং তিনি দৃঢ় ভাবে আশা করেন যে এ ধরনের কার্যক্রম সকলের মাতৃভাষাকে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেম্বেলটাউন সিটির কাউন্সিলর ডাসি লাউন্ড, কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, কাউন্সিলর জন চিউ, কাউন্সিলর ক্যারেন হান্ট এবং লিভারপুল সিটির কাউন্সিলরদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর কারিশমা কালিয়ান্দা ও নেইথেন হ্যাগার্টি এবং ড. রফিকুল ইসলাম অন্যতম। বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন সভাপতি গামা আব্দুল কাদির ও ফারুক আহমেদ খান, কেম্বেলটাউন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি ফাররুখ ইকবাল ও কেম্বেলটাউন  মাল্টিকালচারাল সোসাইটির সভাপতি শফিকুল আলম অন্যতম।

উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে প্রায় ১৩০ জনের অধিক শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করেন। সকল ভাষাভাষীর শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পদক ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজনকে অভিভাবকগণ বিশেষভাবে মূল্যায়ন করেছেন এবং এতে তারা অভাবিত আনন্দে আপ্লুত হয়েছেন। 

তৃতীয় পর্বে মিস সাকিনা আকতারের সঞ্চালনায় বহুজাতিক ভাষার স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ ও আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত বিভিন্ন ভাষা শিক্ষাদানের স্কুল সমূহ এতে অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে বাংলা ভাষার - বাংলা পাঠশালা, তামিল ভাষার - বালার মালার তামিল এডুকেশনার এসোসিয়েশন, মালালায়েম ভাষার-বালাকাইরালি মালালায়েম স্কুল মিন্টো, পাঠশালা নেপালি ভাষা স্কুল, উর্দু ভাষা - সিডনী উর্দু স্কুল, চাইনিজ মেন্ডারিন ভাষা - শেন এডুকেশন স্কুল, ইন্দোনেশিয়ান ভাষা স্কুল, বহুজাতিক ভাষা - আল ফায়সাল কলেজ এবং ইয়ং ইনোভেটরস অস্ট্রেলিয়া।  

অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে থাকা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ বলেন, সমগ্র অনুষ্ঠানটির ডিজাইন ও আইটি সম্পর্কিত দায়িত্ব পালন করেছেন আর্কিটেক্ট মনিরুজ্জামান এবং অনুষ্ঠানটির সফলতার পেছনে কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, সংগঠক ফারুক তালুকদারের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।