খবর প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:১৪ এএম
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে ডিভিশন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চাইছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবীরা। যে কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর দুটি রিটে বুধবার আদেশের জন্য রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মঙ্গলবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
বেলা সাড়ে ৩টায় বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চের সম্পূরক কার্যতালিকায় রিট দুটি শুনানির জন্য ছিল।
নির্ধারিত সময়ে শুনানি হলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদালতকে জানান, কারাগারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আজ (মঙ্গলবার) থেকে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এরপর রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ডিভিশন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চান। তখন আদালত বুধবার আদেশের জন্য রাখেন।
ডেপুটি অ্যাটির্ন জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস ফৌজদারী মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারগারে আছেন। এ মামলায় মহানগর হাকিম আদালত তাদের ডিভিশন সুবিধা দিতে গত ৯ ডিসেম্বর নির্দেশ দিয়েছিলেন। রিটকারীদের অভিযোগ আদালতের আদেশটি কারা কর্তৃপক্ষ মানছেন না। কিন্তু বিচার শাখা থেকে যে আদেশটি রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে আজ থেকে তাদের প্রথম শ্রেণির ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যে কারণে আদালতে আমাদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু রিটের দাবি কার্যকর হয়ে গেছে। ফলে রিটের কার্যকারিতা আর থাকে না। রিট দুটি যেন আবেদনকারীরা তুলে নেন। কিন্তু রিটকারীপক্ষ নিশ্চিত হতে চান যে, তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। যে কারণে আদালত বুধবার বেলা ১২টায় রিট দুটি আদেশের জন্য রেখেছেন। ”
গত ৮ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিএনপিার এ দুই নেতাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানায় ডিবি পুলিশ। পল্টন থানার এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। পরে ৯ ডিসেম্বর জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন তারা। কিন্তু তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলেও সেদিনই নাকি ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানান হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।