NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

মামলায় হেরে সুর পাল্টে অ্যাম্বার বললেন, ‘এখনো জনিকে ভালোবাসি’


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:১৪ এএম

>
মামলায় হেরে সুর পাল্টে অ্যাম্বার বললেন, ‘এখনো জনিকে ভালোবাসি’

হলিউড তারকা জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ডের সংসার ভেঙে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু সেই বিচ্ছেদের জটিলতা শেষ হয়েছে সম্প্রতি। অ্যাম্বার ১০০ মিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন জনির বিরুদ্ধে। অভিযোগের পাহাড় তুলে ধরেছিলেন আদালতে।

কিন্তু তদন্ত ও জনির পাল্টা যুক্তিতে সব জলে গেল। আদালতের রায় আসে জনির পক্ষেই। মামলায় পরাজয়ের কারণে উল্টো জনি ডেপকে ১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে হার্ডকে।

মামলায় হেরে যাওয়ার পর অ্যাম্বার দাবি করেছেন, টাকা দিয়ে পোষা সাক্ষীর কারণেই জনি ডেপ জিতেছেন। এমনকি বিচারকদের পক্ষপাতিত্বের কারণে ন্যায়বিচার পাননি বলেও দাবি তার। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এত টাকা দিতে পারবেন না।  

এবার অ্যাম্বার হার্ড বললেন, তিনি এখনো জনি ডেপকে ভালোবাসেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এখনও তাকে ভালোবাসি। পুরো হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি। আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম, পারিনি। আমার তাকে নিয়ে কোনো খারাপ অনুভূতি নেই কিংবা খারাপ ইচ্ছেও নেই।’

অ্যাম্বারের এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে প্রচুর ট্রল হচ্ছে। কেননা কদিন আগেই তিনি জনিকে হারানোর জন্য, তার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য একের পর এক অভিযোগ করেছেন। সেই তিনিই এখন মামলায় হেরে সুর পাল্টে ফেললেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। এক বছর পরই জনির বিরুদ্ধে শারীরিক ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেন অ্যাম্বার। স্ত্রীর সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন জনি ডেপ। তখন আদালতের কাছে দুইজন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, ভবিষ্যতে তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে জনসম্মুখে আর কোনো ধরনের আলোচনা করবেন না তারা।

কিন্তু ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে আবারও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন অ্যাম্বার। এ কারণে অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন জনি। কিন্তু অ্যাম্বার উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে।

দীর্ঘদিন পর গত ১ জুন এই মামলার রায় আসে। এতে জয় পান জনি ডেপ। আদালত অ্যাম্বারকে ১৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৩৪ কোটি টাকা জরিমানা করেন। তবে কিছু বিষয়ে অ্যাম্বারের পক্ষেও যায়। এজন্য জনিকে ২ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেন আদালত।