খবর প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:৪৭ এএম
দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সৌদি প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বুধবার (১৫ জুন) প্রবাসীদের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সে সময় রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, সারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সারা বিশ্বের ন্যায় আমরাও আজ এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশের চাহিদা মেটাতে আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো ও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখার লক্ষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। তাই দেশের এ প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে অর্থ পাঠানোর জন্য আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি।
জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো প্রায় ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে শুধুমাত্র সৌদি প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার। দেশের অর্থনীতিতে আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আমি আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসীদের দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে সরকার ইতোপূর্বে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে, যা বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রবাসী যে কেউ এখন থেকে এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে সঙ্গে আরও দুই হাজার পাঁচশত টাকা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন। ইতোপূর্বে ৫ লাখের অধিক টাকা পাঠালে প্রণোদনার টাকা পেতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু বর্তমানে যেকোনো অংকের টাকা পাঠানো হোক না কেন, কোন কাগজপত্র জমা দেওয়া ছাড়াই প্রণোদনার টাকা ব্যাংকে জমা হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা ডলার রিজার্ভে জমা হয়। যা দিয়ে দেশের আমদানি ব্যয় ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো হয়। দেশের অর্থনীতি গতিশীল ও শক্তিশালী হয়।