NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
Logo
logo

সিডনিতে আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে কনসার্ট 'জন্মহীন নক্ষত্র'


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৭:৩০ এএম

সিডনিতে আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে কনসার্ট 'জন্মহীন নক্ষত্র'

আইয়ুব বাচ্চু বাংলাদেশের সংগীত জগতের এক কিংবদন্তির নাম। উনার গান সময়ের সীমাকে অতিক্রম করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলেছে। উনার অকাল মৃত্যুর পরও সেই ধারা অব্যাহত আছে। তারই ধারাবাহিকতায় সিডনির সুপরিচিত ব্যান্ড 'ট্রায়ো' আয়োজন করেছিল 'জন্মহীন নক্ষত্র' শিরোনামের এক কনসার্ট। ১৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দর্শকেরা ভিড় করতে থাকেন ক্যাম্বেলটাউন আর্টস সেন্টারে। সেখানেই সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। 

এই আয়োজনকে নিখুঁত করতে 'ট্রায়ো' দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের তৈরি করছিল। তাঁদের ব্যান্ডের প্রত্যেকটা সদস্য নিজেদের সবটুকু তাদের 'মিউজিক্যাল গুরু'র জন্য নিজেদের তৈরি করে। ভোকাল মারুফ হোসেন থেকে শুরু করে ড্রামার আহসানুর রহমান, গিটারিস্ট ইফতেখার আলম, লিড গিটারিস্ট তপন ডি'কস্টা, বেজ গিটারিস্ট আহসানুল হাদি এবং কিবোর্ডে এহসান বাশার শানিয়ে নেন নিজেদের। পাশাপাশি মঞ্চের সজ্জা এবং ভিডিওগ্রাফির কাজ এগিয়ে নেন মোর্শেদ নাসের যিনি দীর্ঘদিন আইয়ুব বাচ্চুর সাথে কাজ করেছেন। 

এভাবেই ক্যাম্বেলটাউন আর্টস সেন্টারের অডিটোরিয়ামে আরেকবার যেন মূর্ত হয়ে উঠেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ডের পরিবেশনা এবং গানের উপযোগী মঞ্চের সাজ সজ্জা শ্রোতাদের কিছু সময়ের জন্য হলেও নস্টালজিক করে দেয়। কারণ প্রত্যেকেরই কোন না কোন স্মৃতি আছে এই ম্যাস্টেরিওর গানের সাথে। তারা দর্শক সারি থেকে নেমে এসে ব্যান্ডের সাথে গলা মেলাতে শুরু করেন। অনেকেই উত্তেজনায় নাচতেও শুরু করেন। 

 

এই আয়োজনকে সামনে রেখে 'ট্রায়ো' প্রকাশ করে 'জন্মহীন নক্ষত্র' শিরোনামের একটি স্মরণিকা। সেখানে আইয়ুব বাচ্চুর পুরো মিউজিক্যাল জার্নির উপর আলোকপাত করা হয়। ১৯৬২ সালের ১৬ই আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়াতে জন্ম নেয়া এক বালক কিভাবে বাংলাদেশের ব্যান্ডের এবি হয়ে উঠেন আছে তার বিবরণ। আছে বেশকিছু দুর্লভ আলোকচিত্র। সেখানে আরও স্থান পেয়েছে তাদের গুরু এবি'কে নিয়ে 'ট্রায়ো' ব্যান্ডের প্রত্যেক সদস্যের স্মৃতিচারণ। 

আইয়ুব বাচ্চু যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন তাঁর শ্রোতাদের হৃদয়ে, তাঁর মিউজিক্যাল শিষ্যদের কাজের মধ্যে। সিডনিবাসি বাংলা ভাষাভাষীরা 'ট্রায়ো'র এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই আয়োজনের সঙ্গী ছিলেন আইকন হেলথ কেয়ার সেন্টার, নর্থ রিচমন্ড ফ্যামিলি মেডিকেল প্রাকটিস, অরোরা মেডিকেল সেন্টার, ডা. শাকিল আহমেদ প্রাইভেট লিমিটেড, অপরাজিতা ফ্যামিলি ট্রাস্ট, ডিভাইন হোমস, কিডজটাইল, সুইফট এন্ড ইজি ড্রাইভিং স্কুল এবং ব্যাচমায়ের একাউন্টিং। আর পুরো আয়জনের ভিডিওগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন নাসের ফটোগ্রাফিকস।