NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ভারত-পাকিস্তান ভ্রমণ না করার পরামর্শ সরকারের সিদ্ধেশ্বরীতে ছিনতাইয়ের শিকার সেই নারীর পরিচয় জানা গেলো যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক খাতে ৯৪৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ঘোষণা নিবন্ধন না করলে ইমিগ্রেশন-সুবিধা বন্ধ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীকে সহায়তা করায় বিচারক গ্রেপ্তার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাডের সাক্ষাৎ ভারতীয় গণমাধ্যম পরিস্থিতিকে ‘অতিরঞ্জিত’ করছে - পাকিস্তানের মন্ত্রী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সমাহিত করা হলো পোপ ফ্রান্সিসকে ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত ৭৫০
Logo
logo

ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা জানাল এপেকের বেশিরভাগ দেশ


খবর   প্রকাশিত:  ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৪৩ এএম

>
ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা জানাল এপেকের বেশিরভাগ দেশ

প্রতিবেশি ইউক্রেনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হামলা চালায় রাশিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান এ যুদ্ধ নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বিশ্ব। এক পক্ষ সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনায় মুখর হয়। অন্য পক্ষ নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়। এরমধ্যে এশিয়ার দেশগুলো নিরপেক্ষ থাকার তালিকায় নাম লেখায়।

তবে শনিবার এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) সংস্থার সম্মেলন শেষে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ জোটের বেশিরভাগ সদস্য দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের নিন্দা জানায়। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ২১ সদস্যের এ জোটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উপস্থিত ছিলেন। জোটের বেশিরভাগ দেশ এশিয়া মহাদেশের।

জোটের নেতারা বলেছেন, তারা বেশিরভাগই যুদ্ধের বিপক্ষে। কারণ এ যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সবকিছুতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। যুদ্ধের কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়েছে, মানুষ নিদারণ কষ্ট ভোগ করছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, খাদ্য ও জ্বালানির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

২১ সদস্যের এ জোটে রয়েছে রাশিয়া ও চীনও। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করলেও এখন পর্যন্ত সরাসরি মস্কোর সমালোচনা করা থেকে বিরত থেকেছে বেইজিং।

গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলন। ওই সম্মেলন শেষেও ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা জানানো হয়। এপেক শনিবার যে বিবৃতি দিয়েছে সেটির সঙ্গে জি-২০ জোটের দেওয়া বিবৃতির মিল রয়েছে। 

এপেক জোট বলেছে, যদিও এটি কোনো নিরাপত্তা জোট নয়। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভিন্ন অভিমত আছে বলেও জানিয়েছে তারা।

এদিকে, রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে উত্তেজনা চলায় জি-২০ এবং এপিইসি জোটের সম্মেলনেও যোগ দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার বদলে ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। অন্যদিকে এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে ব্যাংকক যান উপপ্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসোভ।

অর্থনৈতিক সমন্বয়ের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত এপেক জোটের বর্তমান সদস্য বিশ্বের ২১টি দেশ। এই জোট বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশ, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৬২ শতাংশ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ৪৮ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।

এপেক গঠন করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, কানাডা, চিলি, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, পেরু, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনামকে নিয়ে।