NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ভারত-পাকিস্তান ভ্রমণ না করার পরামর্শ সরকারের সিদ্ধেশ্বরীতে ছিনতাইয়ের শিকার সেই নারীর পরিচয় জানা গেলো যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক খাতে ৯৪৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ঘোষণা নিবন্ধন না করলে ইমিগ্রেশন-সুবিধা বন্ধ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীকে সহায়তা করায় বিচারক গ্রেপ্তার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাডের সাক্ষাৎ ভারতীয় গণমাধ্যম পরিস্থিতিকে ‘অতিরঞ্জিত’ করছে - পাকিস্তানের মন্ত্রী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সমাহিত করা হলো পোপ ফ্রান্সিসকে ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত ৭৫০
Logo
logo

বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট নয়, বিক্রি হবে পুরো গ্রাম!


খবর   প্রকাশিত:  ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৪:২৩ এএম

>
বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট নয়, বিক্রি হবে পুরো গ্রাম!

অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘ওলএক্স’ আসার পর থেকে ভার্চুয়ালি বাড়ির পুরনো টিভি, ফ্রিজ, চেয়ার, টেবিল থেকে শুরু করে এমন নানা ধরনের জিনিস বিক্রির কথা বহুবার আমাদের নজরে এসেছে। শুধু তাই নয় ছোট স্প্রিং থেকে ঘুটে এইসবও বিক্রির বিষয় আমরা দেখেছি। তবে তাই বলে একটা গোটা গ্রাম বিক্রি! শুনে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে স্পেনের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এক গ্রামে। 
 
স্পেনের ওই গ্রামটির নাম সালতো দে ক্যাস্ত্রো। প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার ২০০ টাকা) দামে বিক্রি ঘোষণা করেছেন গ্রামটির বর্তমান মালিক রনি রদ্রিগেজ। 

জানা গেছে, প্রায় তিন দশক ধরে জামোরা প্রদেশের পর্তুগাল সীমান্তবর্তী এ গ্রাম পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। গ্রামটি যেখানে অবস্থিত, সে এলাকাটি ‘শূন্য স্পেন’ নামে পরিচিত।

dhakapost

স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে গাড়িতে করে প্রায় তিন ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রাম। গ্রামটিতে ইতোমধ্যে ৪৪টি বাড়ি, হোটেল, চার্চ, স্কুল ও সুইমিংপুল ইত্যাদি রয়েছে। এত কিছুর থাকার পরেও এখানে অন্যান্য জনপদের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রায় নেই বললেই চলে। ১৯৫০ সালের দিকে স্পেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা ইবারডুরো গ্রামটি তৈরি করেছিল জলাধার তৈরি করা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য। তবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎই বাসিন্দারা সেখান থেকে সরে যেতে থাকেন। তারপরই ১৯৮০ সালের শেষ দিকে গ্রামটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। 

পরে ২০০০ সালে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য রনি রদ্রিগেজ গ্রামটি কিনে নেন। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটসহ নানা কারণে তা আর বাস্তবায়িত করতে পারেননি তিনি। তবে গ্রামটি বিক্রির খবর শোনার পর থেকে এখানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

গ্রামটির মালিক রদ্রিগেজ জানান, এর আগেও তিনি গ্রামটি ৬৫ লাখ ডলারে বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই দামে তখন গ্রামটি কিনতে রাজি হয়নি কেউই। তবে এখন যে দাম হাঁকানো হয়েছে, তা শুনে অনেকেই তাতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কারণ এ দাম দিয়ে বার্সেলোনা বা মাদ্রিদের মতো শহরে সর্বোচ্চ এক বেডরুমের ছোট একটি ঘর কিনে ফেলা সম্ভব।