NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

শি-বাইডেন বৈঠক : তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে হবে আলোচনা


খবর   প্রকাশিত:  ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৫৩ এএম

>
শি-বাইডেন বৈঠক : তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে হবে আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী সপ্তাহে বহুল প্রতিক্ষিত বৈঠকে বসছেন। এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের মাঝে আলাদাভাবে কথা বলবেন তারা। এর মাধ্যমে ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করবেন বাইডেন। বলা হচ্ছে, এ দুই বিশ্বনেতার মধ্যে প্রধান আলোচ্য বিষয় থাকবে তাইওয়ান ইস্যু।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিশ্বের অন্যতম দুই বৃহৎ ও পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্ট এমন সময় বৈঠকে বসছেন যখন দেশ দুটির মধ্যে থাকা সম্পর্কের তীক্ততা বেড়েছে। স্বশাসিত দ্বীপ রাস্ট্র তাইওয়ানকে চীন নিজেদের অংশ দাবি করায় এবং এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক শীতল থেকে আরও শীতল হয়েছে।

শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমরা তাইওয়ান নিয়ে আলোচনা করব…আমি তার সঙ্গে যা করতে চাই তা হলো যখন কথা বলব, উপস্থাপন করব…আমাদের উভয়ের রেড লাইন কোনটি।’

তিনি আরও বলেন, এভাবে তারা বুঝতে পারবে ‘তারা দ্বন্দ্বে জড়িত আছে নাকি নেই, কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় এবং কিভাবে এ নিয়ে কাজ করা যায়।’ তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি আছে সেখানে বড় ধরনের কোনো ছাড় তিনি দেবেন না।  

এদিকে চীন-তাইওয়ানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে বাইডেন একাধিকবার বলেছেন যদি চীন তাইওয়ানে হামলা করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে। বাইডেন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট এমন কোনো মন্তব্য করেননি।

বাইডেন তাইওয়ান নিয়ে এমন হুমকি দিলেও পেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ ‘যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ’ করার বিষয়টি বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শি-বাইডেনের মধ্যে তাইওয়ান নিয়ে কি আলোচনা হবে সে বিষয়ে জানানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য হলো তাইওয়ানকে বোঝানো যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা ‘নিরাপদ ও স্বস্তিতে আছে।’

অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা চায় যুক্তরাষ্ট-চীনের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি আছে সেগুলো অবসান হোক।

এদিকে গত মাসে কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানকে একত্রিকরণ করতে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে শক্তি পয়োগ করবেন তারা।

তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ দাবি করে উত্তেজনা বৃদ্ধি করায় চীনের কম্পিউটার চিপ প্রযুক্তির অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ বিষয়টি রপ্তানি নির্ভর চীনের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। কারণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোন ও বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি ও বিক্রি করা থেকে সবকিছু করে থাকে এশিয়ান জায়ান্ট চীন।