NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

ইরানের আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানালেন বাইডেন


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০৫ পিএম

>
ইরানের আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানালেন বাইডেন

ইরানের সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আন্দোলনকারীরা একদিন মুক্ত ইরান প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।

চলতি নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের নির্বাচন শুরু হবে। সেই নির্বাচনে নিজের রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির এক প্রাচরাভিযানে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়েছিলেন বাইডেন।

সেখানে এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চিন্তার কোনো কারণ নেই, আমরা ইরানকে মুক্ত করব। শিগগিরিই তারা (ইরানের জনগণ) নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।’

বাইডেন এ ভাষণে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এ সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স; কিন্তু সেখানকার কোনো কর্মকর্তা এ সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি।

তবে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগো শহরের মিরাকোস্টা কলেজের মাঠে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা দিতে ওঠেন, ডেমেক্রেটিক পার্টির অনেক কর্মী সমর্থক ইরানে চলমান আন্দোলন সমর্থন করে ব্যানার-ফেস্টুন তুলে ধরেন। ব্যাপারটি লক্ষ্য করেই নির্বাচনীপ্রচারের ভাষণে ইরানের প্রসঙ্গ টেনেছেন বাইডেন।

মাথায় হিজাব ঠিকমতো না পরায় ইরানের নৈতিকতা পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশজুড়ে অভূতপূর্ব বিক্ষোভ শুরু করে ইরানের প্রতিবাদী জনতা। শুরুর দিকে মাশা আমিনিকে নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলা হলেও এক পর্যায়ে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৯৭৯ সালে ‘ইসলামী বিপ্লবের’ মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ইরানের শাসকগোষ্ঠী ইতপূর্বে এত বড় আকারের জনবিক্ষোভের মুখে পড়েনি।

বিক্ষোভের প্রথম থেকেই তা কঠোর হাতে দমাতে তৎপরতা শুরু করে ইরানের সরকার। নরওয়েভিত্তিক সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভের শুরু থেকে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাজার হাজার আন্দোলনকারীকে।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউএন কমিশন অন স্ট্যাটাস অব ওম্যান (সিএসডব্লিউ) থেকে ইরানকে বাদ দিয়ে তৎপরতা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি বছর মার্চেই সিএসডব্লিউ’র সদস্যপদ পেয়েছে ইরান। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা ৪৫।