NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ২, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ডিজিটালাইজড হ‌চ্ছে অভিবাসন খাত


খবর   প্রকাশিত:  ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:১১ এএম

>
ডিজিটালাইজড হ‌চ্ছে অভিবাসন খাত

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ চারটি সেবা ডিজিটালাইজড করার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে অভিবাসন খাতের ডিজিটালাইজেশন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর এক‌টি হোটেলে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ অ্যাপের নিবন্ধন থেকে শুরু করে, চাকরি খোঁজা, রিক্রুটিং এজেন্সির সিলেকশন, বিদেশ যাওয়ার প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তিসহ বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স প্রাপ্তির মাধ্যমে কিউ আর কোড সম্বলিত ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে আমি প্রবাসী অ্যাপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরিক ইকরামুল হক জানান, এখন পর্যন্ত এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫ লাখ। বিএমইটির নিবন্ধন হয়েছে ১৮ লাখ। পাঁচশর বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং ২ হাজারেরও বেশি কাজের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এই অ্যাপের সহায়তায় ১৫ লাখ কর্মী টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আলদুহাইলান, বিএমইটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ ও বায়রার সভাপতি মো. আবুল বাসার।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ব‌লেন, বিএমইটির সেবা ডিজিটাইজেশন শুনতে যতটা বড় মনে হচ্ছে, আমি মনে করি এর প্রভাব আরও বেশি পড়বে অভিবাসন খাতে। আমি প্রবাসী অ্যাপ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। আজকে বোঝা যাচ্ছে, আমরা কতটা সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।  

ইমরান আহমদ ব‌লেন, যা কিছুই করি না কেন আমাদের মন মানসিকতায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যখনই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপের কথা বলি সেটা অংশীদারিত্বেই হতে হয়। সরকার সুযোগ দেয় কারণ তার সেবাটি প্রয়োজন। বিএমইটির একার পক্ষে এটা করা সম্ভব না। সেটি করেও থেমে থাকা যাবে না। আর এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, কর্মী বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়া আমাদের ত্বরান্বিত করতে হবে। ডিজিটাইজেশন আমাদের সহায়তা করবে এবং বিদেশে কর্মী পাঠানোর ধাপ কমে আসবে। 

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলাম সেটা কৃষি, পোশাক শিল্প, প্রবাসীদের মাধ্যমে। একদিকে প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। অপর দিকে পোশাকশিল্প থেকে ভাইবোন ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে। কৃষিতে সাড়ে ৩ কোটি শ্রমিক আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।