NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

পুলিশি সিগন্যাল ভেবে গাড়ি থামালেই সর্বস্ব লুটতো ‘ডাকাতের মাস্টার’


খবর   প্রকাশিত:  ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৮ এএম

>
পুলিশি সিগন্যাল ভেবে গাড়ি থামালেই সর্বস্ব লুটতো ‘ডাকাতের মাস্টার’

রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকা থেকে ‘ডাকাতের মাস্টার’ আসলামসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ডাকাতের মাস্টার মো. আসলামুল হক ওরফে আসলাম, মকবুল হোসেন প্রকাশ ওরফে মঙ্গল হোসেন বাবু, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. হাসান হাওলাদার।

শনিবার (১১ জুন) দিবাগত রাতে শাহ আলী থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি তেজগাঁও জোনাল টিম।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের  কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি বিদেশি পিস্তল, লোহার তৈরি একটি ছুরি, লোহার তৈরি দুটি চাকু, দুটি লাঠি, দুটি গামছা এবং ডাকাতি করা তিনটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।

রোববার  (১২ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহ আলীর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদত হোসেন সুমা।

dhakapost

গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতির কৌশল সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, তারা মূলত লেজার লাইট দিয়ে মালবাহী ট্রাকের সামনে সিগন্যাল দেন। চালক পুলিশি সিগন্যাল ভেবে ট্রাক থামালে অস্ত্রের মুখে চালক ও হেলপারকে জিম্মি করে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যান। পথিমধ্যে কোনো এক নির্জন স্থানে তাদের ফেলে দিয়ে ট্রাকে থাকা ধান, চাল, গরু, মাছের খাবার ইত্যাদি ডাকাতি করে থাকেন। এরপর ডাকাতি করা ওই ট্রাকটি নিয়ে আবার অন্য কোথাও ডাকাতি করেন। গ্রেপ্তারের দিনও তারা বেড়িবাঁধ এলাকায় চালবাহী ট্রাকে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এদের দলনেতা বর্তমান সময়ের মোস্ট ওয়ান্টেড ডাকাত আসলামুল হক ওরফে আসলাম। তাকে দলের অন্য ডাকাতরা ‘মাস্টার’ নামে ডাকে। আসলামের নেতৃত্বে তারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও যশোর এলাকায় ডাকাতি করেছেন।

তিনি বলেন, করোনাকালে এবং পরবর্তী সময়ে প্রথমে ৪০ এরপর ১৬ আর আজ চারজনকে নিয়ে ৬০ জনের সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। তারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, জেলে যাচ্ছেন, আবার বের হয়ে একই কাজে লিপ্ত হচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

যেখানে যে ঘটনাই ঘটুক, না কেন, সে ঘটনাগুলো থানা পুলিশ বা ডিবিকে জানানোর অনুরোধ করেন পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির শাহ আলী থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলামের নির্দেশে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে, তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদত হোসেন সুমার নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।