NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ২, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

মানুষ বিদ্যুৎ পাবে, কিন্তু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:০৫ এএম

>
মানুষ বিদ্যুৎ পাবে, কিন্তু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ মহামারির ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের কারণে জ্বালানি খাতে কঠোরতা দেখাতে বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও তার সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা এবং করোনাভাইরাসের কারণে মিতব্যয়ী হতে হচ্ছে কারণ, আমদানির ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি চলছে। 

তিনি বলেন, আমাদের কিছুটা সাশ্রয়ী হতে হচ্ছে, তার মানে এই নয় দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাবে না। সকলে বিদ্যুৎ পাচ্ছে এবং পাবে। তবে এক্ষেত্রে সবাইকে একটু মিতব্যয়ী হতে হবে। 

শেখ হাসিনা আজ (মঙ্গলবার) সকালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) ইউনিট-২ এর রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণ চুল্লী পাত্র স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। 
 

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সবাইকে বিদ্যুৎ দেওয়ার এবং আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছি। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বেলে সমগ্র বাংলাদেশকে আমরা আলোকিত করেছি। 

তিনি বলেন, এর ফলে আজকে উন্নত দেশগুলোও হিমসিম খাচ্ছে এবং তারাও সাশ্রয়ের দিকে নজর দিয়েছে। প্রত্যেকেরই উপলব্ধি করা উচিত যে বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজ এবং একে অন্যের ওপর উপর নির্ভরশীল।

কাজেই বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার অভিঘাত বাংলাদেশেও যে পড়বে সেটাই স্বাভাবিক বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর, প্রধানমন্ত্রী আরএনপিপির প্রথম ইউনিটে আরপিভি উদ্বোধন করেছিলেন। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটও অনুরূপ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।