NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

এবার ‘ফাইটার’ হচ্ছেন হৃতিক


খবর   প্রকাশিত:  ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০২ এএম

>
এবার ‘ফাইটার’ হচ্ছেন হৃতিক

সিনেমার চরিত্রানুযায়ী নিজের শারীরিক গড়ন বদলে ফেলার সুখ্যাতি রয়েছে বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশনের। ‘সুপার ৩০’-এর পর ‘ওয়ার’ সিনেমায় তার বডি ট্রান্সফরমেশন দেখে অবাক হয়েছিল সবাই। এবার ‘ফাইটার’ হয়ে ওঠার পালা।

হৃতিকের পরবর্তী প্রজেক্ট পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘ফাইটার’। চলছে ‘ফাইটার’ হওয়ার প্রস্তুতি। এ যাত্রায় ‘কৃষ’ অভিনেতার পাশে আছেন ফিটনেস প্রশিক্ষক ক্রিস গেথিন। এই সিনেমার জন্য কঠোর শরীরচর্চা করেছেন অভিনেতা। তার ডায়েট প্ল্যানও বদলে দিয়েছিলেন ক্রিস। এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন সেই অধ্যায়।

ক্রিস জানান, ‘ফিটনেস বজায় রাখা কেন জরুরি, অতিমারি আবহে ঘরবন্দি মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পেরেছেন। শরীর দুর্বল হলেই তাতে রোগ বাসা বাঁধে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে উদাহরণ দেন হৃতিকের। ৪৯ বছর বয়সে এসেও তিনি নবীন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হতে পারেন।’

সূত্রের খবর, ‘ফাইটার’-এর জন্য ১২ সপ্তাহ ধরে কঠোর পরিশ্রমের পর চেহারা বদলেছেন অভিনেতা। তার পেশি এখন আরও বেশি পুষ্ট। ‘বিক্রম বেধা’র সময় যতটা ওজন বাড়িয়েছিলেন, তার থেকেও বেশি কমিয়ে ফেলেছেন বর্তমানে। কাজটা সহজ হয়েছিল ক্রিসের মতো প্রশিক্ষক পাশে ছিলেন বলেই।

হৃতিকের সঙ্গে ক্রিসের পরিচয়টাও ছিল আকস্মিক। এ ব্যাপারে ক্রিস জানান, ২০১১ সালে তার এক বই প্রকাশের জন্য ভারতে এসেছিলেন তিনি। বইয়ের নাম ‘গাইড টু ইয়োর বেস্ট বডি’। সেই বইয়ের এক কপি হৃতিককে উপহার দিয়েছিলেন ক্রিসেরই এক বন্ধু। যা পড়ে অভিভূত ‘লক্ষ্য’-র নায়ক যোগাযোগ করেছিলেন লেখক ক্রিসের সঙ্গে।

‘আমায় প্রশিক্ষণ দেবেন?’ জিজ্ঞেস করেছিলেন তাকে। হৃতিক তখন মেরুদণ্ডের এক সমস্যায় শয্যাশায়ী। তার সঙ্গে দেখা করতে ভারতে উড়ে আসেন ক্রিস। এসে শোনেন, হৃতিক প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এরপরই হাল ধরেন ক্রিস। নয় থেকে দশ সপ্তাহ, তার মধ্যেই ‘কৃষ ৩’-এর জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন হৃতিক।

হৃতিকের খাদ্য তালিকায় কী কী রয়েছে? ক্রিস বলেন, “ফাইটার’-এর উপযুক্ত চেহারা বানাতে দিনে ৬ বার খান হৃতিক। সঙ্গে প্রোটিন শেক। তিনি মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন। চকলেট কিংবা কেক অথবা মিষ্টি জাতীয় কোনো কিছুই এখন ওকে খেতে বারণ করেছি।”