খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:৫২ এএম
পশ্চিম জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার যে সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়া চার বছর আগে নিয়েছিলো - দেশটির মধ্য-বামপন্থী নতুন সরকার তা বাতিল করেছে। ইসরায়েলে তাদের দূতাবাসটি তেল আভিভেই থাকবে। খবর: বিবিসি বাংলা।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, ২০১৮ সালে নেয়া ওই সিদ্ধান্ত ‘শান্তির জন্য ক্ষতিকর এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় বেমানান’ ছিলো। তবে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া আগের মতই ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকবে। এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ইসরায়েল অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। তবে এর প্রশংসা করেছেন ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।
ইসরায়েল-ফিলিস্তনি সঙ্কটে জেরুসালেম শহরের মর্যাদা খুবই সংবেদনশীল একটি বিষয়। ২০১৭ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দশকের মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন এনে এই প্রাচীন শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। সেই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছিলো।
পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে মার্কিন দূতাবাস তেল আভিভ থেকে সরিয়ে জেরুসালেমে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর কয়েক মাস পরেই অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন পশ্চিম জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন এবং তাদের দূতাবাস ঐ শহরে সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষমতাসীন মধ্য-বামপন্থী সরকার এখন বলছে যে মি. মরিসন রাজনৈতিক কারণে ঐ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, জানাচ্ছেন জেরুসালেম থেকে বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা টম বেটম্যান।
তারা বলছে, ঐ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি ভবিষ্যত সমঝোতা মীমাংসার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতিশ্রুতিকে ক্ষুণ্ণ করেছিলো।
তবে ইসরায়েল সরকার অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সিদ্ধান্তকে ‘অদূরদর্শী এবং গভীর হতাশাজনক’ বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা একে স্বাগত জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর এপর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নিয়েছে। ব্রিটেনের বর্তমান সরকারও তার দূতাবাস তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েল তার চিরন্তন অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুসালেমকে - যা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলের দখলে - তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখতে চায়।